বলিউডের তিন সুপারস্টার তিন খান। ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁরা দীর্ঘ সময় কাটিয়ে ফেলেছেন, দীর্ঘ সময় ধরে রাজত্বও চালিয়েছেন শাহরুখ সলমন ও আমির। বর্তমানে তিন সুপারস্টারের মধ্যেই সুন্দর বন্ধুত্ব রয়েছে। তবে একটা সময় ছিল যখন তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক বিশেষ ভালো ছিল না। ছিল তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
সম্প্রতি একটি পডকাস্টের হাজির হয়েছে কিছু কথা সামনে এনেছেন আমির খান। তিনি জানান যে, প্রথমে ‘দঙ্গল’ ছবিতে কাজ করার আগে মহাবীর ফোগাটের ভূমিকায় অভিনয় করবেন কিনা সেবিষয়ে তিনি দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। আমির বলেন, তাঁর মনে হয়েছিল যাঁরা তাঁকে এধরনের চরিত্রের প্রস্তাব দিচ্ছেন তাঁরা হয়ত শাহরুখ কিংবা সলমানের লোক, ওঁরা আসলে তাাঁর কেরিয়ার নষ্ট করতে চান!
হ্যাঁ এমনই কথা মনে হয়েছিল আমির খানের। ঠিক কী বলেছেন তিনি?
শাহরুখ ও সলমনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা
আমির খান 'জাস্ট টু ফিল্মি' ইউটিউব চ্যানেলে বলেন, প্রথম দিকে তাঁরা তিনজনই একে অপরকে খুব একটা পছন্দ করতেন না। তাঁদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল। তাঁর কথায়, বলল, ‘আমরা প্রত্যেকেই তখন অন্য দুজনের চেয়ে এগিয়ে থাকতে চাইতাম।’
আমির খানের 'দঙ্গল' ছবিটি ব্লকবাস্টার হয়। তবে সুপারস্টার বলেন, ছবির চিত্রনাট্য তাঁর পছন্দ হয়েছিল তবে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে মহাবীর ফোগাটের ভূমিকায় অভিনয় করতে রাজি হননি। কারণ তাঁর সেসময় মনে হয়েছিল, তিনি সবেমাত্র সেসময় ধুম ৩ করেছেন। সেই ছবিতে তাঁকে বেশ তরুণ ও ফিট দেখাচ্ছিল। আর তার পরপরই তিনি মহাবীর ফোগাটের চরিত্রটি করার জন্য ওজন বাড়াবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন।
এরপরই কিছুটা মজা করেই আমির বলেন, নীতেশ তিওয়ারি তাঁকে যখন এমন ভূমিকার প্রস্তাব দেন, তখন তাঁর বিষয়টা ষড়যন্ত্র বলেই সন্দেহ হয়েছিল। অভিনেতা বলেন, 'আমি ভেবেছিলাম এরা সলমন বা শাহরুখের লোক আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছিল।'
দঙ্গলের চিত্রনাট্য
এদিকে দঙ্গল ছবিতে একমাত্র আমিরকেই নেওয়ার বিষয়ে অনড় ছিলেন নীতেশ তিওয়ারি। তবে আমির পরিচালক নীতিশকে কিছুটা ঝুলিয়ে দিতে বলেছিলেন এই ছবিটা তাঁকে দিয়ে করাতে হলে ১০-১৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে। উত্তরে নীতেশ বলে বসেন তিনি প্রস্তুত। আমিরের কথায়, 'গল্পটি এতটাই ভালো ছিল যে আমি এটাকে ছেড়ে দিতেও পারিনি, যদিও এটা আমার কেরিয়ারে ক্ষতি করেছিল।'