২০০১ সালের ১৫ জুন। বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছিল 'লগান'. বাকি কথা জানা সবার। ছবির গল্প থেকে সুর, জমাটি চিত্রনাট্য থেকে অভিনেতাদের দুর্ধর্ষ অভিনয়কে কেন্দ্র করে ধন্য ধন্য রব উঠেছিল গোটা দেশ জুড়ে। আসমুদ্রহিমাচল ভারত আক্রান্ত হয়েছিল 'লগান' জ্বরে। এদিন কুড়ি বছরে পা দিল এই ছবি। বিশাল বাজেট, ছ'ছটি গান, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীনে থাকা ভারতের ছবি তুলে ধরা হয়েছিল। সহজ কথায় পিরিয়ড পিস-এর সঙ্গে মিশেছিল ভালোবাসার রঙ। সেই প্রসঙ্গে এবার স্মৃতিচারণে ডুবলেন 'লগান' এর 'ভুবন'।
পরিষ্কার কথায় আমির জানালেন 'লগান' এর বিশেষ কোনও একটি ব্যাপার নয় বরং গোটা ছবির স্মৃতিটাই আজও তাঁর হৃদয় জুড়ে রয়েছে। এরপরেই তারকা যোগ করেন, ' তবে লগান ছবিটি নিঃসন্দেহে আমি রিনা-কে উৎসর্গ করব ( আমিরের তৎকালীন স্ত্রী ছিলেন রিনা দত্ত)। ও না থাকলে হয়তো এই ছবিটাই তৈরি হতো। রিনা এই ছবির প্রযোজকের ভূমিকা পালন করেছিল এবং এতটাই দক্ষভাবে ও নিষ্ঠাভরে তা করেছিল যা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছিলাম। আর তার ফলাফল তো সবাই দেখতেই পেয়েছেন।

শুধু এটুকু বলবো,'লাগান' এর আগে পর্যন্ত ছবি তৈরির বিষয়ে নূন্যতম জ্ঞানটুকু অবধি ছিল না ওঁর। আমার সঙ্গে ততদিন কিন্তু বহু বছর সংসার করে ফেলেছিল সে। তা সত্ত্বেও ওই হাল ছিল। তবে আমি যেদিন 'লগান' প্রযোজনা করার সিদ্ধান্ত ওঁকে জানাই এবং বলি যে আমার সাহায্যের দরকার তখন কিন্তু চরম অবাক হলেও রিনা মুখ ঘুরিয়ে নেয়নি।'
একটু থেমে ফের একটানা বলা শুরু করেন 'ভুবন',' রিনা নিজের চেষ্টায় শিখেছিল ছবি তৈরির সমস্ত টেকনিক্যাল ব্যাপার স্যাপারগুলো। সুভাষ ঘাই থেকে শুরু করে মনমোহন শেট্টির কাছে দিনের পর দিন গিয়ে পড়ে থেকেছে। তাঁদের থেকে জেনেছে,শিখেছে ছবি তৈরির খুঁটিনাটি দিকগুলো। বিভিন্ন পরিচালক,প্রযোজক এমনকি নানান কলাকুশলীদের সঙ্গে প্রতিদিন মিটিং করেছে, আলোচনা চালিয়েছিল রিনা স্রেফ 'ফিল্ম মেকিং' শিখবে বলে। এবং কী অসম্ভব ভালো শিখে সেই শিক্ষা সে প্রয়োগ করেছিল 'লগান'-এ তা আজও ভেবে অবাক হই আমি। সত্যই অবিশ্বাস্য! তাই 'লগান' বলতে রিনার নাম আমার কাছে প্রথম ভেসে ওঠে!'