গত শনিবার যৌথ বিবৃতি দিয়ে বিচ্ছেদের ঘোষণা করেছেন আমির খান এবং কিরণ রাও। যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে আইনি পথে হেঁটে বিচ্ছেদের ঘোষণা করেছেন এই তারকা দম্পতি। গত ১৫ বছর ধরে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ তাঁরা। তবে পুরনো এক সাক্ষাৎকারে আমির খোলসা করেছিলেন, কিরণ রাওকে একটি ফিচার ফিল্মের তাঁর বিপরীতে অভিনয় করার কথা বলেছিলেন তিনি।
পেশার পরিচালক কিরণ রাও। কিন্তু আমির খানের ‘দিল চাহাতা হ্যায়’ ছবিতে ঝলক দেখা গিয়েছিল কিরণের। বছর খানেক পরে, আমির স্বীকার করেছেন যে তিনি কিরণকে একটি সিনেমায় অভিনয় করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। অভিনেতা ২০১৩ সালে একটি সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন, তিনি চেয়েছিলেন কিরণ 'ধোবি ঘাট' ছবিতে অভিনয় করুক। এখনও পর্যন্ত এটি কিরণ রাও পরিচালিত একমাত্র ছবি।
এই সম্পর্কে বলতে গিয়ে ইন্ডিয়া টুডে-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আমির জানিয়েছিলেন, ‘আমার আসলে মনে হয়েছিল। আমি ওকে জোর করেছিলাম। ধোবি ঘাটে একটা চরিত্র ছিল যেটা আমি চেয়েছিলাম ও করুক। ইয়াসমিনের ভূমিকায় দেখতে চেয়েছিলাম ওকে। ইয়াসমিন হল ছবির সেই চরিত্র, যাঁকে ভিডিয়োটেপে দেখে আমি প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম, এবং তাঁর প্রতি মারাত্মকভাবে আকৃষ্ট হয়ে পড়ি। আমি ওকে (কিরণ) রোজ স্ক্রিপ্ট পড়তে দেখতাম, বলতে দেখতাম। ইয়াসমিনের চরিত্রে ওকে দারুণ মানাতো। আমি ভেবেছিলাম ও ইয়াসমিন হিসাবে কিরণ অবিশ্বাস্য হবে'।
চরিত্রে অবশেষে কৃতী মলহোত্রাকে দেখা গেছে। আমির আরো বলেন, ‘তবে আমি ওকে পরামর্শ দিয়েছিলাম। আমাদের একসঙ্গে ছবি করা উচিত। কারণ ও অভিনেত্রী হিসেবে অসাধারণ। আমি সত্যিই ওর সঙ্গে ছবি করার জন্য উৎসাহী ছিলাম’।
ডিভোর্সের ঘোষণা করলেও একে অপরের পরিবারের অংশ থাকবেন বলে জানিয়েছেন আমির-কিরণ। পাশাপাশি তাঁদের একমাত্র সন্তান আজাদ খানেও দেখভালের দায়িত্ব থাকবে দুজনের কাঁধেই। দম্পতি আরও জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন আগেই তাঁদের পথ আলাদা হয়েছে। আলাদা থাকলেও ছেলে আজাদের দায়িত্ব একসঙ্গেই পালন করবেন।
বিবৃতিতে তাঁরা জানিয়েছেন, ‘আমরা বিচ্ছেদের পরিকল্পনা বেশ কিছু সময় আগেই করে ফেলেছিলাম, এখন আমরা বিষয়টা জনসমক্ষে আনতে স্বচ্ছন্দবোধ করছি। আমরা আলাদা থাকলেও আমরা কিন্তু একই পরিবারের অংশ, সেভাবেই আমরা জীবনটা ভাগ করে নেব। আমরা আমাদের সন্তান আজাদের প্রতি সমর্পিত, যাঁকে একসঙ্গেই আমরা বড় করব’।