সম্প্রতি শোনা গিয়েছিল যে, অভিনেতা ইমরান খান একটি ওয়েব সিনেমার মাধ্যমে তার বহুল প্রতীক্ষিত প্রত্যাবর্তন করছেন এবং মামা আমির এটির প্রযোজনা করছেন। তবে হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদন অনুসারে, তথ্যটি ভুল।
‘দানিশ আসলামের লেখা এই চিত্রনাট্য প্রযোজনা করছেন দানিশ নিজে, ইমরান ও তাঁদের এক বন্ধু। এই কামব্যাক প্রোজেক্টের সঙ্গে আমির কোনোভাবেই যুক্ত নন। তাঁরা ইতিমধ্যেই একটি ওয়েব প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে কথা বলেছে। মৌখিক কথার ভিত্তিতে থাম্বস আপও দিয়েছে ওই ওয়েব প্ল্যাটফর্ম। যেহেতু পুরো চিত্রনাট্য তৈরি হয়নি, তাই লিখিত চুক্তি হয়নি।’, এক সূত্র জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমসকে। মাঝে, আমির ও ইমরানের ঝামলার খবরও আসছিল। যদিও আমির কন্যা, আইরা-র বিয়েতে বিয়েতে ইমরানের উপস্থিতি ঝামেলার খবরের জল্পনায় জল ঢেলেছে।
২০০৮ সালে আমির প্রযোজিত সিনেমা জানে তু ইয়া জানে না দিয়ে অভিনয়ে পা রাখেন ইমরান। ২০১৩ সালে 'কাট্টি বাট্টি' ছবিতে শেষবার বড় পর্দায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে। একাধিক ব্যর্থতার জেরে সেই সময় অভিনয় থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন ইমরান।
ইমরান যা নিয়ে জানিয়েছিল, ‘কাট্টি বাট্টি ফ্লপ করার পরই যে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম সেটা নয়। তবে ধীরে ধীরে অনুভব করেছিলাম। আমি টাকা উপার্জন করছিলাম ঠিকই, কিন্তু আগ্রহ পাচ্ছিলাম না। আমি ঠিক করে নিয়েছিলাম যে ছবির গল্প শুনে মনে হবে যে আমি এটা বিনামূল্যেও করতে রাজি ততক্ষণ আর ছবি করব না।’
প্রায় ১০ বছর তিনি কাজ থেকে দূরে। এর মাঝে আর্থিক অনটন আসে ইমরনের জীবনে। শুধু তাই নয়, স্ত্রী অবন্তিকা মালিকের সঙ্গেও ডিভোর্স হয়। বছরখানেক আগে ভোগ ইন্ডিয়ার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ইমরানকে বলতে শোনা গিয়েছিল, তিনি তাঁর বিলাসবহুল পালি হিলের বাংলো ছেড়ে চলে এসেছেন বান্দ্রার একটি ফ্ল্যাটে। তার রান্নাঘরে মাত্র তিনটি প্লেট, তিনটি কাঁটা চামচ, দুটি কফির মগ এবং একটি ফ্রাইং প্যান আছে। বিক্রি করে দিয়েছেন, চেরি লাল রঙের ফেরারি গাড়িটি। চালান ফক্সওয়াগেন।
ডিজনি প্লাস হটস্টারের একটি স্পাই সিরিজ দিয়ে ইমরানের প্রত্যাবর্তন হওয়ার কথা ছিল। যেখানে তিনি একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তার ভূমিকায় অভিনয় করতেন। চলচ্চিত্র নির্মাতা আব্বাস টায়ারওয়ালা সিরিজটি তৈরি করছিলেন। তবে গত বছর হটস্টার জিও অধিগ্রহণ করার পরে প্রকল্পটি বাতিল করা হয়।