শুক্রবার ছেলে জুনায়েদ খানের আসন্ন রোমান্টিক কমেডি 'লাভইয়াপা'র ট্রেলার লঞ্চে আমির খান জানান, অবশষে তিনি ধূমপান ছেড়ে দিয়েছেন। হ্যাঁ, ৬০-এর দোরগোড়ায় এসে স্বাস্থ্য আর পরিবারের কথা চিন্তা করে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমির। যদিও তাঁর ছেলে জুনায়েদের বলিউডে সাফল্যের বিনিময়েই বাবা হিসাবে এই ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তবে আমির জানান তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই ছেড়ে সিগারেটের নেশা ত্যাগ করার কথা ভাবছিলেন। আরও পড়ুন-‘আমাদের কোনও সন্তান নেই ….’, ২৪ বছরের দাম্পত্য, কেন বাবা-মা না হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন জয়-লোপা?
সিগারেটের ধোঁয়ায় সমস্য়ায় পড়েন কিরণ
'ধুম থ্রি'র ট্রেনিং নেওয়ার সময় আমির দুই-তিন বছরের জন্য ধূমপান ছেড়েছিলেন। কিন্তু পরে আবার নেশার টানে ফিরে যান। আমির এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমার সিনেমা মুক্তি পেলে আমি বেশি ধূমপান করি। কিরণ (রাও, তৎকালীন স্ত্রী) সিগারেটের ধোঁয়ায় প্রভাবিত হবে, তবে সে পাইপের বিরোধী নয়। এর জন্যই আমি সিগার খাওয়ার চেষ্টা করেছি, তবে অভিজ্ঞতাটি সন্তোষজনক ছিল না’।
শুক্রবার রাতেও আমির স্বীকার করেছেন যে তিনি ধূমপান ‘উপভোগ করেন’ এবং বছরের পর বছর ধরে এতে আসক্ত। তবে এটি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক তরুণ প্রজন্মকে বারবার স্মরণ করান মিস্টার পারফেকশানিস্ট।
শুক্রবার আমির ছেলেকে পাশে নিয়ে বলেন. 'আমি ধূমপান ছেড়ে দিয়েছি, ধূমপান এমন একটি বিষয় যা আমি খুব পছন্দ করি এবং এটি এমন একটি বিষয় যা আমি উপভোগ করি। আমি কি আর বলতে পারি, এটাই সত্যি, আমি মিথ্যা বলতে পারি না। আমি বহু বছর ধরে সিগারেট খাচ্ছি, এখন আমি একটি পাইপে সুইচ করেছি। তামাক এমন একটি জিনিস যা আমি উপভোগ করি। এটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। কারও এটা করা উচিত নয়।
ছেলের জন্য আমিরি বলিদান!
আমির আরও বলেন, ‘আমি খুব আনন্দের সাথে বলছি যে আমি এই খারাপ অভ্যাসটি ছেড়ে দিয়েছি। আর যাঁরা দেখছেন বা শুনছেন, তাঁদেরও বলতে চাই, দয়া করে এটা বন্ধ করুন। এটা কোনও ভালো অভ্যাস নয়। আমার মনে হচ্ছিল আমি ধূমপান ছেড়ে দিতে চাই, আমার ছেলের কেরিয়ার শুরু হচ্ছে। আমি মনে মনে একটা সংকল্প করলাম। আমি ছেড়ে দিচ্ছি, ওহ পরে (জুনায়েদের পরবর্তী ছবি) কাজ করুক বা না করুক, আমি এটা স্বাধীনভাবে করছি। বাবা হিসেবে আমি ত্যাগ স্বীকার করতে চেয়েছি। আশা করি এটি মহাবিশ্বের কোথাও কিছু ঘটবে। আপনারাও প্রার্থনা করুন এবং সেই কামনাও করুন’।
আমির-পুত্র গত বছর নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়ার ছবি 'মহারাজ' দিয়ে পর্দায় আত্মপ্রকাশ করলেও প্রেক্ষাগৃহে অভিষেক হবে ৭ ফেব্রুয়ারি। এদিকে আমিরকে আগামীতে সিতারে জমিন পার ছবিতে দেখা যাবে।
আশুতোষ গোয়ারিকরের লগান-এর সেটে আলাপ হয়েছিল আমির-কিরণের। কিরণ সহকারী পরিচালক হিসাবে কাজ করেছিলেন। রিনার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর কিরণই ছিলেন আমিরের জীবনের রোশনাই। ২০০৫ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন, তবে সকলকে চমকে দিয়ে ২০২১ সালে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন তাঁরা। তাঁদের একমাত্র পুত্র আজাদ খান। বিয়ে ভাঙলেও আজও কিরণ আমিরের পরিবারের অংশ। তাঁর পুত্রের মা। প্রাক্তন স্ত্রীকে সারাক্ষণ আগলে রাখেন আমির।