দক্ষ অভিনেত্রীর পাশাপাশি সুদৃঢ় ব্যক্তিত্বের অধিকারিণীও ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। বরাবরই ভরা সাংবাদিক সম্মেলন হোক কিংবা মুখোমুখি সাক্ষাৎকার, সাংবাদিকদের কঠিন থেকে তরল সবরকম প্রশ্নেই ফ্রন্টফুটে খেলেছেন 'বচ্চন-গিন্নী'।একবার ২০০৪ সালে এই বলি-সুন্দরীকে এক সাংবাদিক জিজ্ঞেস করা হয়েছিল আমির খানের 'মঙ্গল পান্ডে' থেকে তাঁকে 'সরিয়ে' দেওয়া হয়েছে কি না। একমুহূর্তে সময় না নিয়ে করা গলায় জবাব দিয়েছিলেন ঐশ্বর্য।
সেই সাংবাদিক বলি-নায়িকাকে জিজ্ঞেস করে বসেন যে বলিউডে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে আমিরের 'মঙ্গল পান্ডে: দ্য রাইসিং' ছবি থেকে তাঁকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। গোটা ব্যাপারটা নিয়ে ঐশ্বর্য কী বলবেন? এরপর প্ৰথমেই ওই সাংবাদিককে তিনি বলে ওঠেন 'সরিয়ে দিয়েছে' এই শব্দটি একেবারেই এক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কারণ গোটা ঘটনাটাই সম্পূর্ণ আলাদা। এরপর বলি-অভিনেত্রী জানান 'মঙ্গল পাণ্ডে'-র প্রযোজক তাঁর কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন কারণ প্রকাশ্যে তিনিই এই কথাটা বলেছিলেন তাঁর ছবি থেকে ঐশ্বর্যকে 'বাদ' দিয়ে দেওয়া হয়েছে। 'এবার আসল ব্যাপারটা আপনাকে খোলসা করে বলি। আমার কাছে এই ছবির প্রস্তাব এসেছিল। তবে শেষপর্যন্ত ছবি নির্মাতা সংস্থা এবং আমার এজেন্ট টিমের সঙ্গে একটি ব্যাপারে মতপার্থক্য তৈরি হওয়ার ফলে ছবি থেকে নিজেই সরে গেছিলাম আমি। তাও 'মঙ্গল পান্ডে'-র শুভ মহরত হওয়ার অনেক আগেই।'
এরপর একটি প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী জানা গেছিল ওই ছবিতে ঐশ্বর্যকে প্রস্তাবিত চরিত্রটিতে শেষপর্যন্ত আমিশা প্যাটেলকেই নির্বাচন করা হয় পরিচালক-প্রযোজকদের তরফে। 'ওয়াইল্ড ফিল্মস ইন্ডিয়া'-এ প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে আমিশা বলেছিলেন 'মঙ্গল পান্ডে'-এর মতো এতবড় ক্যানভাসের ছবিতে কাজ করার সুযোগ পেয়ে তিনি ভীষণই খুশি। জোর গলায় দাবি করেছিলেন, কোনওরকম চালাকি করে এই ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ তিনি বাগিয়ে নেননি।বরং স্রেফ তাঁর অভিনয় ক্ষমতার জেরেই এই ছবিতে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া 'ফ্যানি খান' ছবিতে শেষবার দেখা গেছিল ঐশ্বর্যকে। এরপর মণিরত্নমের আসন্ন ছবি 'পোন্নিনিয়িন সেলভান ' ছবিতে দেখা যাবে।