অনেকটাই হাফ ছেড়ে বাঁচলেন অভিনেতা আমির খান। তাঁর মায়ের করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। মঙ্গলবারই টুইট বার্তায় আমির জানিয়েছিলেন তাঁর বাড়িতে করোনা হানার কথা। মহামারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে আমির খানের বাড়ির বেশ কিছু স্টাফ। তবে পরিবারের সদস্যরা সুস্থ রয়েছেন। একমাত্র অভিনেতার মা,জিনাত খানের করোনা পরীক্ষা হয় মঙ্গলবার। সেই রিপোর্ট হাতে পেয়ে আমির অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে জানান, সকলকে নমস্কার। আমি অত্যন্ত স্বস্তির সঙ্গে আপনাদের সকলকে জানাচ্ছি যে আম্মি কোভিড-১৯ রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের প্রার্থনা এবং শুভকামনার জন্য। ভালোবাসা..আমির খান'।
গতকাল সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে আমির জানান, আপনাদের সবাইকে জানাতে চাইছি আমার বাড়ির বেশ কিছু স্টাফের দেহে করোনাভাইরাস মিলেছে। তাঁদেরকে দ্রুত কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে এবং বিএমসির কর্মীর খুব দ্রুত এবং পেশাদারভাবে আক্রান্তদের মেডিক্যাল পরিষেবার আওতাভুক্ত করেছে। আমি বিএমসিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই এত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য এবং গোটা এলাকা জীবানুমুক্ত করবার জন্য'।
মঙ্গলবার আমির অনুরাগীদের কাছে আবেদন করেন, ‘দয়া করে আপনারা সবাই প্রার্থনা করুন যাতে মায়ের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে’। সেই কারণেই এদিন ভক্তদের ধন্যবাদ জানালেন অভিনেতা। মুম্বইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালে আমির খান ও তাঁর পরিবার ও হাউজ স্টাফদের সকলের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সেখানকার চিকিত্সক,নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ধন্যবাদ জানাতেও ভোলেননি আমির।
লকডাউনের সময় আমির খান,কিরণ রাও ও তাদের একমাত্র সন্তান আজাদের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকছেন আমিরের প্রথম পক্ষের দুই সন্তান ইরা খান ও জুনাইদ খানও। ইরার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বার উঠে এসেছে সেই ঝলক। প্রসঙ্গত কাজের ক্ষেত্রে বক্স অফিসে আমিরের শেষ ছবি ছিল ঠগস অফ হিন্দুস্তান, যা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়। আগামিতে ফরেস্ট গাম্পের অফিয়িয়্যাল হিন্দি রিমেক লাল সিং চড্ডা নিয়ে হাজির হবেন আমির। ক্রিসমাসে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল এই ছবির। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে আটকে রয়েছে ছবির শ্যুটিং। তাই আগামী বছরই মুক্তি পাবে এই ছবি।