‘ঝুন্ড’ সিনেমাটি দেখে নিজের চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি আমির খান। ছবি দেখে মুগ্ধ আমির দারুণ সব প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন ‘ঝুন্ড’ এর মুখ্য অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন ও তাঁর সঙ্গে থাকা শিশুশিল্পীদেরও। এবার আমিরের এই প্রশংসা শোনার পর পাল্টা মুখ খুললেন স্বয়ং অমিতাভ। ধন্যবাদ জানালেন বটে,তবে বেশ খানিকটা মজা করেই। আসলে, ‘ঝুন্ড’ দেখে টি-শার্টের হাতা দিয়ে তাঁকে চোখের জল মুছতেও দেখা গিয়েছিল আমিরকে।অমিতাভ প্রসঙ্গে আমির বলেছিলেন, ' ওঁর অনেক ভালো ছবি উপহার দিয়েছে দর্শককে। কিন্তু এটা ওঁর সেরা ছবিগুলির মধ্যে একটা। দুর্দান্ত একটা সিনেমা।’ আমিরের এহেন কথা শুনে হাসতে হাসতে অমিতাভ বলেছেন, 'ও একটু বেশিই উত্তেজিত হয়ে পড়ে।'
প্রসঙ্গত, আমির খানের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল ‘ঝুন্ড’-এর ব্যক্তিগত স্ক্রিনিং। টি সিরিজের পক্ষ থেকে তাঁদের ইউটিউব চ্যানেলে যে ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে সিনেমা দেখে নিজের চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি আমির। একইসঙ্গ এই ছবিকে তিনি বলেছেন ‘অদ্বিতীয়’। ‘ঝুন্ড’-র পরিচালক নগরাজ পোপটরাও মঞ্জুলে ও প্রযোজক ভূষণ কুমারের সাথে কথা প্রসঙ্গে আমির জানান, তিনি গত ২০-৩০ বছরে যা শিখেছিলেন তা সব ভেঙে দিয়েছে এই ছবি। সঙ্গে ‘ঝুন্ড’কে অমিতাভের সেরা ছবির মধ্যে একটা বলেও উল্লেখ করেন। প্রশংসা করেন ছবির শিশুশিল্পীদেরও।
বলিউড হাঙ্গামাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকার চলাকালীন এই প্রসঙ্গ উঠলে হাসতে হাসতে হালকা চালে অমিতাভ বলে ওঠেন, 'আমিরের একটু বেশি উত্তেজিত হয়ে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। তবে একইসঙ্গে তিনি বলেন, 'কিন্তু এত ভালো ভালো কথা বলার জন্য ওঁকে ধন্যবাদ। আমার মনে হয়, যেকোনও ছবি নিয়েই আমিরের মতামত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমির যেভাবে এই ছবির ব্যাপারে প্রশংসা করেছে, সত্যিই আমি আপ্লুত।'
উল্লেখ্য, সমাজকর্মী বিজয় বারসের জীবনের উপর ভিত্তি করেই এই ছবির গল্প। যিনি বস্তির বাচ্চাদের প্রেরণা দিয়েছিলেন ফুটবল টিম তৈরি করতে।