অমিতাভ বচ্চনের মেয়ে শ্বেতা বচ্চন নন্দা স্পট লাইটের থেকে হামেশাই দূরত্ব বজায় রেখে চলেন। তবে অতীতে করণের শো- ‘কফি উইথ করণ’এ হাজির হয়েছিলেন দুই ভাই-বোন শ্বেতা বচ্চন নন্দা এবং অভিষেক বচ্চন। ভাই-বোনের সম্পর্ক মানেই ভালবাসা এবং খুনসুটি। তা প্রকাশ পায় শো-এর মধ্যে। করণের শো-তে গিয়ে দিদির সব সিক্রেট ফাঁস করলেন অভিনেতা অভিষেক বচ্চন।
অভিনেতা অভিষেক বচ্চন জানিয়েছিলেন, সলমন খান এবং আমির খানের নাকি বিরাট বড় ফ্যান শ্বেতা। ১৯৮৯ সালে যখন ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ প্রকাশ করে, শ্বেতা তখন দশম শ্রেণিতে বোর্ডিং স্কুলে পড়ত। ভিসিআরে সে সিনেমাটি দেখেছিল। ছবিতে সলমনকে তাঁর খুব ভালো লেগেছিল। এরপরই সলমনের মতো টুপি অভিষেক শ্বেতাকে কিনে দিয়েছিল।
শ্বেতা জানিয়েছেন, সেই সময় তাঁদের বোর্ডিং স্কুলে সিনেমা দেখার অনুমতি ছিল না। তাই তিনি টেপ রেকর্ডারে পুরো বিষয়টি রেকর্ড করে রেখেছিলেন, পরে অডিওতে শুনেতেন। এবং তিনি ‘ফ্রেন্ড’ (Friend) লেখা টুপি পরতে চেয়েছিলেন। লন্ডনে সেই সময় ওই ধরণের টুপি পাওয়া যেত না। তাই মুম্বই থেকে তেমন টুপি কিনে অভিষেক লন্ডনে শ্বেতার জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন। এমনকি শ্বেতা নাকি সেই টুপিটা তাঁর বালিশের নীচে নিয়ে ঘুমাতেন তেমনটাই জানিয়েছেন।
স্কুলে পড়াকালীন আমির খানের নাকি ‘বিরাট বড় ফ্যান’ ছিলেন শ্বেতা। অভিষেক জানান, ‘আমির সে কথা জানতে পেরে শ্বেতার প্রত্যেক বছরের জন্মদিনে একটা করে চিঠি লিখতেন’। অমিতাভ-কন্যা শ্বেতার কথায়, তাঁদের দু’জনের জন্মদিন একই মাসে এবং তাঁদের ‘মীন রাশি’ হওয়ায় আমির তাঁর কথা মনে করে চিঠি লিখতেন। আমিরের জন্মদিন ১৪ মার্চ, ঠিক তার ৩ দিন পর ১৭ মার্চ শ্বেতার জন্মদিন।
অভিষেক আরো জানিয়েছেন, বস্টনে পড়াশোনা করার সময় আমিরের লাইভ শো দেখার জন্য অভিষেককে লিমুজিন ভাড়া করতে বাধ্য করেছিলেন শ্বেতা। প্রায় দেড় ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে দিদিকে আমির ও শাহরুখের লাইভ শো দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
অভিনয় জগৎ থেকে নিজেকে বরাবর দূরে রেখেছেন শ্বেতা। অনিতাভের সঙ্গে বেশ কিছু কমার্শিয়াল বিজ্ঞাপনে দেখা গেছে তাঁকে। ‘MXS’ নামক একটি ফ্যাশন কোম্পানির কর্ণধার তিনি। ২০১৮ সালে ‘প্যারাডাইস টাওয়ার’ নামে একটি বইও লিখেছেন শ্বেতা বচ্চন নন্দা।