বচ্চন পরিবারের সবচেয়ে খুদে সদস্য আরাধ্যা। বয়স সবে ১১। তবে নিয়মিত ট্রোলের শিকার হতে হয় এই খুদেকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঐশ্বর্য রাই বচ্চন আর অভিষেক বচ্চনের মেয়ের ভিডিয়ো আসা মানেই যেন ট্রোলারদের ভুলভাল মন্তব্য করার কাজ চালু। দিনকয়েক আগে তো আদালতেও গিয়েছেন বচ্চনরা ঐশ্বর্যর নামে ছড়ানো ফেক নিউজ বন্ধ করতে। তবে ট্রোলারদের মুখ তাতেও বন্ধ হল না।
রবিবার রাতে ইনস্টাগ্রামে এক পাপারাজ্জি অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা হল ঐশ্বর্য (Aishwarya Rai) ও আরাধ্যার (Aaradhya Bachchan) একটি ভিডিয়ো। যেখানে মা-মেয়েকে বেরিয়ে আসতে দেখা গেল মুম্বই এয়ারপোর্ট থেকে। বরাবরের মতো এবারেও মেয়ের হাতটা শক্ত করে ধরে রেখেছিলেন নায়িকা। আর তাতেই ফের কটাক্ষ (Social Media Trolling) শুরু করে দিল নেটপাড়া।
এক মহিলা কমেন্টে লিখলেন, ‘আর কেউ যেন কখনও মা হয় না। এত নেকামোর কী কারণ বুঝি না। দেখলেই অসহ্য লাগে।’ জনৈকের মন্তব্য, ‘বাচ্চাটাকে দেখলেই আমার কেমন যেন মনে হয় ওর মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব আছে। যা স্টার কিডডের মধ্যে সাধারণত হয় না। আমার মনে হয় এভাবে ঐশ্বর্য সবসময় ওকে আগলে রাখার ফলে এমনটাই হয়েছে। কেমন নেচে নেচে হাঁটছে!’ তৃতীয় জনের কটাক্ষ ভরা মন্তব্য, ‘এই অরাধ্যা কি একা হাঁটতেও পারে না! যখনই দেখবে ঐশ্বর্য যেন হাত ধরে ধরে হাঁটাচ্ছে। ছোটি বচ্চি হ্যায় কেয়া!’
তবে নেটপাড়ার একাংশ কিন্তু আরাধ্যার হয়েই কথা বললেন। তাঁদের মত, ‘এই এখানেই যারা কটাক্ষ করছেন তাঁরা ঐশ্বর্য হাত না ধরলে আবার কমেন্ট করত কেমন মা নিজের বাচ্চাকে একটু ধরে না। নেয় কেন এরা বাচ্চা। আসলে সেলেব্রিটিরা যাই করে তাতেই মানুষের সমস্যা।’
প্রসঙ্গত, মাসখানেক আগে এক ইউটিউব জার্নাল আরাধ্যার স্বাস্থ্য নিয়ে এক ভুয়ো প্রতিবেদন পেশ করে। যা নিয়ে মামলা করেছিল বচ্চন পরিবারের দিল্লি হাইকোর্টে। রায়ে ওই এই চ্যানেলে আপাতত কোনও ভিডিয়ো আপলোড করা যাবে না বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, Google-এর কাছে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে, কারা এই চ্যানেলের নেপথ্যে রয়েছে, তাদের নাম প্রকাশ করার জন্য। সঙ্গে আরাধ্যাকে নিয়ে এই জাতীয় আর কী কী কুরুচিকর এবং ভুয়ো কথা ছড়ানো হয়েছে, তা খতিয়ে দেখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবং সেগুলি দ্রুত YouTube থেকে সরানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)