নব্বইয়ের দশকের শুরুতেই বলিউডকে ‘আশিকি’র মতো ব্লকবাস্টার ছবি উপহার দিয়েছিল ভাট ক্যাম্প। আর এই ছবির সঙ্গেই রাতারাতি সুপারস্টারের তকমা পেয়েছিল দুই নবাগত রাহুল রায় এবং অনু আগারওয়াল। নদিম-শ্রবণ জুটির কম্পোজ করা ছবির প্রতিটি গান ছিল চার্টবাস্টার। তবে 'আশিকি'র পর হাতে গোনা দু-চারটি ছবিতে কাজ করেছেন অনু। বছর কয়েকের মধ্যেই সন্ন্যাস গ্রহণ করে শোবিজ দুনিয়াকে বিদায় জানান তিনি। সম্প্রতি ‘ইন্ডিয়ান আইডল ১৩’র সেটে হাজির হয়েছিলেন অনু। কিন্তু সেখানেও বিতর্ক! প্রাক্তন বলি অভিনেত্রীর অভিযোগ তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে শো থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে।
আশিকি-র ৩২ বছর পূর্তি সেলিব্রেট করা হয়েছে ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এর স্টেজে। অনুর পাশাপাশি মঞ্চে হাজির ছিলেন রাহুল রায়, দীপক তিজোরি এবং গায়ক কুমার শানু। রবিবারের এপিসোডে যারা নজর রেখেছিলেন তাঁদের অজানা নয়, মূলত এই তিনজনকেই ফোকাসে রেখেছিলেন নির্মাতারা। অনুর ঝলক দেখা গেলেও তাঁর উপস্থিতি সেভাবে চোখে পড়েনি, তাতেই চটেছেন ‘আশিকি’ নায়িকা।
প্রাক্তন সুপারমডেল বলেন, রাহুল রায়ের ঠিক পাশে বসেছিলেন তিনি। অথচ তাঁকে দেখানোই হল না! অনুর কথায়, তিনি শো-এর প্রতিযোগিদের অনুপ্রাণিত করতে চেয়েছিলেন নিজেদের পছন্দের পথ বেছে নেওয়ার জন্য। মাত্র ১৯ বছর বয়সে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন অনু, শোবিজ দুনিয়াকে খুব কাজ থেকে দেখেছেন তিনি, সেই অভিজ্ঞতাই ভাগ করে নিয়েছেন তিনি।
অভিনেত্রীর কথায় গোটা শো জুড়ে তিনি প্রচণ্ড অ্যাক্টিভ ছিলেন, প্রতিযোগিদের সঙ্গে প্রচুর কথাবার্তাও বলেছেন। অনু জানান, ‘আমি রাহুলের পাশে বসেছিলাম, অথচ আমাকে ফ্রেম থেকে ছেটে দেওয়া হল। ভাগ্যিস আমি সন্ন্যানিসী! আমার মধ্যে কোনও ইগো নেই। আমি এতে দুঃখ পাইনি। আমার সঙ্গে শো-তে প্রচুর তরুণ শিল্পীদের দেখা হয়েছে, আমি প্রচুর কথা বলেছি যদিও একটা শব্দও টেলিকাস্ট করা হয়নি। আমি জানতেও চাই না কেন? আমি ভুলে যেতে চাই।… আমি কাউকে দোষারোপ করতে চাই না.. সোনি (চ্যানেল), এডিটর অথবা অন্য কাউকে’।
তবে একটা আক্ষেপ রয়েছে অনুর, তাঁর অনুপ্রেরণামূলক কথাগুলো দর্শকদের কাছ অবধি পৌঁছায়নি। একটি ভয়ঙ্কর সড়ক দুর্ঘটনার ফলে প্রায় মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে আসেন অনু। টানা ২৯ দিন কোমায় ছিলেন তিনি। এরপরই শোবিজ ছেড়ে আধ্যাত্মিক পথ বেছে নেন অভিনেত্রী। বর্তমানে একজন ‘মোটিভেশন্যাল স্পিকার’ হিসাবে কাজ করছেন অনু আগারওয়াল।