স্টার জলসার ‘আয় তবে সহচরী’ তরতর করে এগিয়ে চলেছে। দর্শকরা এক অন্য স্বাদের গল্পের ছোঁয়া পেয়েছে এই ধারাবাহিকে। এক তো সহচরীর পড়ার প্রতি ঝোঁক দেখে মুগ্ধ সকলে। যেভাবে সে বিয়ের ২০-২৫ বছর পরে কলেজে ভর্তি হওয়ার সাহস দেখিয়েছে তা নিয়ে গর্বিত বাড়ির মেয়ে-বউরা। সঙ্গে ধারাবাহিকের আরেক কেন্দ্রীয় চরিত্র বরফি-র সাথে তার সই-মার সম্পর্ক।
সহপাঠী সহচরীর লেখাপড়া যাতে বন্ধ না হয়ে যায় তা নিশ্চিত করতেই এই বাড়ির বউ হয়ে আসে বরফি। যদিও শাশুড়ি আর হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া কেউই মনে নেয়নি তাকে। আর তাই বাড়ি থেকে বের করার নানা চাল কষতে থাকে। এমনকী, বরফির রান্না করা খাবারে নুন মিশিয়েও দেয় তারা।
প্রতিশোধ নিতে পরের দিন সকলের ভাতের সাথে ছাই মেশায় বরফি। আর এই নিয়ে ঠাকুমা-শাশুড়ি প্রতিবাদ করলেই ভয় দেখায় খাবারে নুন মেশানোর ভিডিয়ো বাড়ির সবাইকে দেখিয়ে দেবে। শুধু তাই নয়, বাধ্যও করে ছেই মেশানো ভাত খেতে।
তবে আর যাই হোক বরফি কষ্ট দেবে না তার সই মা-কে! তাই তো বিয়ের উপহার হিসেবে ‘গীতাঞ্জলি’ নেয় হাসিমুখে। যদিও বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের সে বলে দিয়েছে তার উপহার হিসেবে লাগবে গয়না।
বরফি-র ভাতে ছাই মেশানো নিয়ে যদিও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে দর্শকদের মধ্যে। কারও কারও মতে ভাতে ছাই মেশানো মানে তা খাবারকে অপমান করা। আর একটা ধারাবাহিক যা লক্ষ লক্ষ মানুষ দেখেন, তাতে এরকম খারাপ সংস্কার দেওয়া ঠিক হচ্ছে না! উল্টো মতও আছে, যাঁদের যুক্তি একটা সময় পর ইটের জবাব পাটকেলে দিতেই হয়। বরফি যা করছে, তা না করলে এই বাড়ির লোকেরা কখনওই জব্দ হবে না!