সোমবার মুম্বইতে 'অন্তিম: দ্য ফাইনাল ট্রুথ' ছবির ট্রেলার লঞ্চে হাজির ছিলেন সলমন খান, আয়ুষ শর্মা এবং ছবির কলাকুশলীরা। সেখানেই মঞ্চ থেকে আয়ুষ জানালেন শ্যুটিং চলাকালীন ছবির একটি দৃশ্যে সলমনকে ঘুষি মারতে গিয়ে ভয়ের চোটে প্রায় ঘামিয়ে গেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, ভয়ের চোটে আগেভাগেই তিনি ফ্লোরের বাইরে একটি গাড়ির ব্যবস্থাও করে রেখেছিলেন। হাসতে হাসতে আয়ুষের যুক্তি, 'যদি ওই ঘুষি মারার দৃশ্যে কোনওরকম গন্ডগোল করে ফেলতাম তাহলে আর এক মুহূর্তের জন্য ওখানে দাঁড়াতাম না। সোজা ওই গাড়িতে উঠে ওখান থেকে চম্পট দিতাম!'
সাংবাদিক বৈঠকে এ প্রসঙ্গে আয়ুষ অকপটে স্বীকার করেন তিনি সত্যিই বেশ ভয়ে ভয়ে ছিলেন ওই সিকোয়েন্স শ্যুট করার আগে। তাই তো পালানোর জন্য গোপনে গাড়ির বন্দোবস্ত করে রেখেছিলেন। সব শুনে এক গাল হেসে পাশে বসা সলমন বলে ওঠেন, 'পালিয়ে যেতেই বা কোথায়? সেই তো বাড়িই আসতে হত তোমাকে'। 'ভাইজান' এর কথা শেষ হতে না হতেই হাসির রোল ওঠে ওই সাংবাদিক বৈঠকে। হেসে ফেলেন আয়ুষও। আসলে সম্পর্কে আয়ুষ তো শুধুই সলমনের 'অন্তিম' ছবির সহকর্মী নন। তিনি যে 'টাইগার' এর বোন অর্পিতার স্বামীও।
ঘুষি মারার ওই দৃশ্য প্রসঙ্গে আয়ুষ আরও বলেন, 'বাস্তবে সলমন ভাই খুবই মিষ্টি এবং মজার মানুষ। কিন্তু শ্যুটিংয়ের সময় ক্যামেরা চালু হলেই তিনি অন্য মানুষ। ওঁর মতো ব্যক্তিত্বের পাশে দাঁড়িয়ে তখন আপনার কপালে ঘাম ছোটা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। একে এত বড় তারকা তার ওপর এই ব্যক্তিত্ব। সত্যি বলতে কি টেনশনের চোটে বেশ ঘামিয়ে গেছিলাম আমি'। প্রসঙ্গত, 'অন্তিম: দ্য ফাইনাল ট্রুথ' ছবির মাধ্যমেই প্রথমবার বড়পর্দায় একসঙ্গে হাজির হচ্ছেন সলমন এবং আয়ুষ। মহেশ মঞ্জেরেকর পরিচালিত এই ছবিতে 'ভাইজান'-কে দেখা যাবে একজন দুঃসাহসী শিখ পুলিশ অফিসারের ভূমিকায়। অন্যদিকে, একজন কুখ্যাত গ্যাংস্টারের চরিত্রে দর্শকদের সামনে হাজির হবেন আয়ুষ শর্মা।