বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > ‘নিলর্জ্জের মতো আমাকে ছোট করা হয়েছে’, বলিউডের লবি নিয়ে সোচ্চার অভয় দেওল

‘নিলর্জ্জের মতো আমাকে ছোট করা হয়েছে’, বলিউডের লবি নিয়ে সোচ্চার অভয় দেওল

ফের বিস্ফোরক অভয় দেওল 

হৃত্বিক-ক্যাটরিনার উপরই ছিল সব লাইমলাইট।জিন্দেগি না মিলেগি দোবারর পর সব অ্যাওয়ার্ড শোতে সাইডলাইন করে দেওয়া হয় অভয় ও ফারহানকে।

ফের একবার বলিউডের অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান গুলিকে একহাত নিলেন অভিনেতা অভয় দেওল। জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা ছবির পরবর্তী সময়ে নিজের সঙ্গে ঘটা দুর্ব্যবহার নিয়ে ফের সোচ্চার হলেন অভিনেতা। ওই গোটা একটা ‘নির্লজ্জ এসিপোড' বলে বর্ণনা করেছেন অভয়। 

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই রোষের মুখে বলিউডের একটা বড় অংশ। ট্যালেন্টের সঠিক বিচার না হওয়া, অ্যাওয়ার্ড সেরেমানিতে পছন্দের অভিনেতার হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার মতো ঘটনা তো আকছাড় বলিউডে ঘটেই থাকে- সব অনেকেই মনের কথা গোপনেই লুকিয়ে রাখতেন, তবে সুশান্তের মৃত্যু সব হিসেব-নিকেশ পালটে দিয়েছে। জুন মাসে সুশান্তের মৃত্যুর পরও এই গোটা বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছিলেন অভয়, ফের বোমা ফাটালেন তিনি। 

জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা মুক্তি পায় ২০১১ সালে। ছবিতে তিন বন্ধুর চরিত্রে দেখা গিয়েছিল হৃত্বিক রোশন, অভয় দেওল ও ফারহান আখতারকে। তবে অভয়ের কথায় প্রত্যেক অ্যাওয়ার্ড শো’তে তাঁকে সাইডলাইন করা হয়েছে সহঅভিনেতা হিসাবে। অভয়ের প্রশ্ন কেন হৃত্বিক রোশন ও ক্যাটরিনা কাইফকেই কেন সেই ছবির লিড হিরো-হিরোইন হিসাবে ভাবা হয়েছিল? কীভাবে সহ অভিনেতার ক্যাটেগরিতে মনোনীত হলেন তিনি এবং ফারহান আখতার? 

সম্প্রতি জুম টিভিকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে অভয় জানান, ‘কেন আমরা অভয় এবং ফারহানকে হৃত্বিকের সঙ্গে একই বিভাগে মনোনীত করব? কারণ হৃত্বিক,ক্যাটরিনা বড় স্টার। এটা কোনও যুক্তি হল! ছবির প্লট বলছে ওটা তিন বন্ধুর গল্প, তাঁদের একটা জার্নির গল্প। আমি সেই সময় কিছু বলিনি, চুপ ছিলাম। আমি ভেবেছিলাম দরকার নেই, আমি যাব না। ওটা আমার কেরিয়ারের ১০ নম্বর ছবি ছিল, আমি অনেককিছু বলেছি তবে মনে হয়েছে আমি একাই চিত্কার করছি এবং লোকে আমাকেই খারাপ ভাবছে। তাই ছাড়ুন ওসব কথা’। 

তবে অভয় আশাবাদী ভবিষ্যতে নিজেদের মানসিকতা পরিবর্তন করবে এইসব পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মাথারা। ‘কিন্তু এটা অত্যন্ত নির্লজ্জের মতো একটা কাজ, এবং আশ্চর্যজনকও বটে। তবে এটা সবাই জানে, কেউ কিছু বলে না। কারণ আমরা ভাবি না অন্যকেউ কেউ ভাবছে। হয়ত ওরা পালটাবে না, কিন্তু কে জানে এরপর হয়ত একটু সতর্ক হবে’।

জুন মাসে নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে অভয় লিখেছিলেন- আজকাল প্রতিদিন নিজেকে এই কথাটা মনে করাতে হচ্ছে! যখনই আমি উদ্বিগ্ন থাকি কিংবা মারত্মক চাপে থাকি এই ছবিটা সত্যি সব ভুলিয়ে দেয়। আমি বলতে চাই প্রত্যেক অ্যাওয়ার্ড শোতে আমাকে এবং ফারহানকে মেন লিড থেকে সরিয়ে সহকারী অভিনেতার ক্যাটিগরিতে ফেলে দেওয়া হয়। যেখানে হৃত্বিক-ক্যাটরিনা লিড হিরো-হিরোইন হিসাবে মনোনীত। তাহলে ইন্ডাস্ট্রির লজিক কী বলছে এই ছবিটা হল একটা পুরুষ ও মহিলার গল্প-যাঁরা প্রেমে পড়ে এবং সেই পুরুষটিকে তাঁর বন্ধুরা সমর্থন করে জীবনে যা সিদ্ধান্ত সে নিয়ে থাকে’।

এই কারণেই নাকি অ্যাওয়ার্ড শোগুলি বয়কট করেছিলেন অভয়। যদিও এই বিষয় নিয়ে কোনও সমস্যা ছিল না ফারহান আখতারের। অভয় বলেন, এই ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক গোপন বা প্রকাশ্য পদ্ধতি রয়েছে যেভাবে তোমার বিরুদ্ধে লবি করা হয়। এই ক্ষেত্রে এটা প্রকাশ্যে করা হয়েছিল’।

এই ছবি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন জোয়া আখতার। ৫৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মঞ্চেও দুটি পুরস্কার জিতে নিয়েছিল জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা।

বন্ধ করুন