বিগত কয়েক মাস ধরে বিতর্কের কেন্দ্রে রিয়ালিটি শো ‘ইন্ডিয়ান আইডল ১২’। চলতি সিজনে কিশোর কুমার স্পেশ্যাল এপিসোডের পর, কিশোর পুত্র অমিত কুমারের মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত। সম্প্রতি ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে অতিথি বিচারক হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন গায়ক অভিজিৎ ভট্টাচার্য। নব্বইয়ের দশকের অত্যন্ত জনপ্রিয় গায়ক তিনি। এই ধরণের রিয়ালিটি শো-তে খুব একটা উপস্থিত থাকতে দেখা যায়না অভিজিতকে। যদিও কেন রিয়ালিটি শো এড়িয়ে চলেন তিনি, তা নিয়ে মন্তব্য করলেন গায়ক।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে গায়ক জানিয়েছেন, ইন্ডিয়ান আইডল শো-এর নির্মাতাদের কাছ থেকে প্রাপ্য সম্মান পেয়েছেন তিনি। এখানে শুধুমাত্র তাঁকে কাজ করতে ডাকা হয়নি। যেই কারণে এই রিয়ালিটি শো-এর অংশ হতে প্রস্তুত হয়েছেন তিনি।
অভিজিতের কথায়, ‘আমি ওঁদের বলেছিলাম, আমি কাজ চাওয়ার কথা বলিনি, যেটা আমার প্রাপ্য সেটাই চেয়েছি মাত্র। লোকে আমার কাছে কাজ করে। আমি এমপ্লয়ার। সারা জীবনে চারটে গান গেয়েছে, এমন লোকেদের বিচারক হতে ডাকে ওঁরা। যাঁরা সংগীতকে কিছুই দেননি, তাঁদের বিচারক হিসেবে ডাকা হয়। ওঁরা শুধুমাত্র কর্মাশিয়াল। হয়তো হিট গান গেয়েছে, কিন্তু মিউজিককে তাঁরা কিছু দেয়নি’।
তিনি আরো বলেন, ‘যদি আরডি বর্মন বেঁচে থাকত, ওঁরা তাঁকেও হয়তো এখন ডাকত না। ওঁরা আমাকে পুরস্কারও দেয়নি। আমার, আরডি বর্মণ এবং কিশোর কুমারের মধ্যে এটাই মিল- কেউই আমারা এই তিনজনকে বুঝে উঠতে পারেনি- এই নির্বোধেরা আমাকে অগ্রাহ্য করে নিজেদের প্রকাশ করেছে’।
তিনি আরো অভিযোগ করেছেন, যাঁদের পুরনো গানের রিমিক্স করতে বলা হয়, তাঁদেরকে মাত্র ৫০০ টাকা দেওয়া হয়। এই সমস্যাটা বহুদিনের। এমনকি এই পরিস্থিতি নিয়ে অনু মালিক এবং মনোজ মুনতাশিরের মতো ব্যক্তিত্বের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ‘এটা কি মজার বিষয়?’ ওঁদের কথায়, ‘দাদা, আমরা একটা বড় ভুল করেছি’। যাঁরা এই সব রিয়ালিটি শো এসে এসে প্রতিযোগীদের ব্যবহার করে নিজেদের অ্যালবামের প্রচার করে, তাঁরা আর যাই হোক, বিচারক নন। আমি আসল বিচারক'।
তিনি মন থেকে যেটা বলতে চেয়েছিলেন, সেগুলো বলতে পেরে সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন। কারণ গায়কের মতে, তাঁর মতো বিচারকরা রিয়েলিটি শোতে অংশ নেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।