পিতৃত্ব নিয়ে বরাবরই অকপট অভিষেক বচ্চন। যখনই মেয়ে আরাধ্যা বচ্চনের কথা বলেন, তখন যেন আনন্দে ভরে ওঠে চোখমুখ। এমনকী, সম্প্রতি যে দুটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে অভিনেতার, সেখানেও বাবা অভিষেককেই দেখেছে দর্শক। একটি হল সুজিত সরকারের আই ওয়ান্ট টু টক, যা ২০২৪-এর শেষে মুক্তি পায়, অপরটি রেমো ডিসুজার বি হ্যাপি, যা সদ্য এসেছে অ্যামাজন প্রাইমে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিষেককে বলতে শোনা গেল, কীভাবে মেয়ের জন্মের পর থেকে কাজ নিয়ে আরও চুজি হয়েছেন। ‘হয়তো এমন কিছু যা খুব যৌনতাপূর্ণ... আমি এতে খুব অস্বস্তি বোধ করি। আমি পর্দায় এই সব দেখাতে পছন্দ করি না। আমি আসলে এমন একজন, যে ফোনে কিছু দেখছে একা-একা, খুব অশ্লীল কিছু চলে এলেও, অস্বস্তিতে পড়ে যায়। যখন থেকে একজন মেয়ের বাবা হয়েছি, তখন থেকেই আমি এমন সিনেমা বেছে নিতে ভালোবাসি যেগুলো আমি আমার মেয়ের সাথে দেখতে পারি। আমি বলছি না, নীতিগতভাবে সকলের এটা করা উচিত। কিন্তু আমি আসলে ভাবতে চাই না, 'ও (আরাধ্যা) এটা দেখে কী ভাববে'!’
একটি পৃথক সাক্ষাৎকারে ফিভার এফএমের সঙ্গে কথোপকথনে অভিষেক জানান যে, ‘আমরা ছেলেরা আসলে মনের কথা প্রকাশ করতে পারি না। এটা খুব খারাপ। শত চাপেও যেন, মুখ থেকে বেরোয় না। নারীর শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। একজন বাবা কখনোই মাের জায়গা নিতে পারে না। মাকে নিয়ে সিনেমার চাহিদা সবসময়ই। তবে আমি সুযোগ পেলে এমন সিনেমা করবই, যা বাবাদের কথা বলবে। কারণ, সন্তানের জন্য বাবার ভূমিকাও অস্বীকার করা সম্ভব নয়। একজন মায়ের কাছে তা হয়তো কিছুই নয়, কিন্তু বাবারাও যথাসাধ্য চেষ্টা করে।’
অভিষেকের ডিভোর্সের গুঞ্জন:
গোটা ২০২৪ সাল সরগরম ছিল অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বর্য রাইয়ের ডিভোর্সের খবরে। শোনা গিয়েছিল, রাই সুন্দরী নাকি বরের থেকে আলাদা হচ্ছেন। এমনকী, খবর রটে, বাবার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে আরাধ্যারও। এমনকী, অমিতাভ পুত্রের নাম জড়ায় দশভি কোস্টারের সঙ্গেও। ডিভোর্সের খবর চরমে ওঠে, যখন আম্বানিদের বিয়েতে গোটা বচ্চন পরিবার একত্রে যায়, আলদা যায় ঐশ্বর্য-আরাধ্যা। তবে দম্পতির কেউই এি নিয়ে মুখ খোলেননি। তখন দীর্ঘ সময় একসঙ্গে দেখাও যায়নি অভিষেক-ঐশ্বর্য-আরাধ্যাকে। যদিও পরবর্তীতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ফের একত্রে দেখা দিতে শুরু করেন তাঁরা।