প্রয়াত অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। বুধবার মধ্যরাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। বড় পর্দার পর ছোট পর্দাতে নতুন করে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন অভিনেতা। ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকে গুনগুনের ‘ড্যাডি’ হিসেবে দর্শকের মন জয় করেছিলেন তিনি। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিনোদন জগতের একাধিক মানুষ।
পর্দার ‘ড্যাডি’র মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন ‘গুনগুন’ অর্থাৎ অভিনেত্রী তৃণা সাহা। ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকে তৃণার বাবার চরিত্রে বিগত দু-বছর ধরে অভিনয় করছেন অভিষেক। অভিনেতার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে তৃণা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পর্দায় অভিষেকদা যেমন ড্যাডি ছিলেন, পর্দার বাইরেও ড্যাডির মতোই ছিলেন। শরীরের একদম যত্ন নিচ্ছিলেন না। তাই পরশু দিনও নাকি শ্যুটিংয়ের সময় অভিনেতাকে খুব বকাবকি করেছিলেন তৃণা।
তৃণা জানিয়েছেন, বেশ কিছু দিন পেটের সমস্যা এবং লিভারের সমস্যায় ভুগছিলেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দিন সেটে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। বার বার বিশ্রাম নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সেদিন সেটে দুলাল লাহিড়ির গায়ে বমি করে দেন তিনি। সেটে চিকিৎসক দেখানোর পর বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এই অবস্থায় বুধবারও শ্যুটিং করেন অভিনেতা। শরীর খারাপ অবস্থায় শ্যুটিং করার জন্য ফোন করে বকাও দিয়েছিলেন তৃণা।
জানা গিয়েছে, গত দশ-বারো দিন ধরে পায়ের শিরায় অসহ্য যন্ত্রণায় ভুগছিলেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। তার মধ্যেই একটি বাংলা চ্যানেলে জিতের হোস্ট করা শো-তে নিয়মিত যাচ্ছিলেন। পারবারিক বন্ধু ও অভিনেতা কৌশিককে জানিয়েছিলেন একগাদা ওষুধ খেতে হচ্ছিল নিয়মিত। পরশু যন্ত্রণা আরও বাড়ে। তা স্বত্ত্বেও কাল ফ্লোরে যান। কাজ করতে পারেননি। চ্যানেলের লোকেরাই ধরাধরি করে বাড়িতে নিয়ে আসে। বাড়ির লোকের হাজার অনুরোধেও হাসপাতাল যেতে চাননি। বাড়িতেই অক্সিজেন আনা হয়। ওষুধ দেওয়া হয়। মাঝ রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে যান না ফেরার দেশে।