করোনা সতর্কতার জেরে ঘরবন্দি সাধারণ মানুষ থেকে সেলেবরা। এর মাঝেই আবির চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে ভুয়ো ফেসবুক পোস্ট করেন এক সাংবাদিক। তিনি তাঁর ফেসবুকের টাইমলাইনে দাবি করেছিলেন সম্প্রতি নাকি এয়ারপোর্টে দেখা গিয়েছে আবিরকে। তারপরেও তিনি সমাজে মেলামেশা করছেন, এমনকি জিমে যাচ্ছেন! সেই পোস্ট থেকে চমকে গিয়েছিলেন আবির পত্নী নন্দিনী চট্টোপাধ্যায়। কারণ গত ছয় মাসে আবির দেশের বাইরে যান নি। করোনা সতর্কতার জন্য মঙ্গলবারের আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্তের বহু আগেই আবিরের দুটি ছবির শ্যুটিং বাতিল করা হয়েছে। ব্রাত্য বসুর পরিচালনায় ডিকশানারি এবং আবির-অর্পিতা-তনুশ্রীর আবার বছর কুড়ি পরের। তা সত্ত্বেও একজন সাংবাদিক এমন কথা বলায় কিছুটা চমকে গিয়েছিলেন, এরপরেই ফেসবুকে গোটা বিষয়টি সম্পর্কে একটি দীর্ঘ পোস্ট লেখেন নন্দিনী।
তিনি জানান, ' মহাশয়া, এটা আমাদের নজরে এসেছে আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন আবির চট্টোপাধ্যায়কে নাকি বিমানবন্দরে দেখা গিয়েছে এবং তিনি নাকি এখনও জিমে যাচ্ছেন যেখানে ওর গৃহবন্দি হয়ে থাকার কথা। আমি নন্দিনী চট্টোপাধ্যায়, তাঁর স্ত্রী এই বিষয়টা পরিষ্কার করে জানাতে চাই গত ছ মাসে আবির দেশের বাইরে যায়নি, এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে এয়ারপোর্টেও সে যায়নি। এমনকি সে বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে নিজের আউটডোর শ্যুটিং বাতিল করেছে, আর এই বিষয়টাও অনেকেরই জানা। আর জিমে যাওয়ার কথা বলছেন? কোনওরকম আনু্ষ্ঠানিক ঘোষণার অনেক আগেই জিম যাওয়া বন্ধ করেছে সে। আমাদের বাবা-মা’রা প্রবীণ নাগরিক, পাশাপাশি আমাদের সাত বছরের এক সন্তান রয়েছে। আবির ভীষণরকমভাবে একজন দায়িত্বশীল মানুষ। আবির এমন কিছুই করতে পারেনা যেটা ওর পরিবার বা কাছের মানুষদের বিপদ ডেকে আনবে। তাই দয়া করে ভুয়ো তথ্য ছড়াবেন না। আমার সোশ্যাল মিডিয়ায় টাইমলাইনে এই সংক্রান্ত একটা ব্যাখ্যা দিলে অত্যন্ত খুশি হব। ধন্যবাদ'।
পড়ে সাংবাদিক নিজের ভুল স্বীকার করে নিয়ে জানান, ভুল তথ্য পেয়েছিলেন তিনি। আসলে পশ্চিমবঙ্গে প্রথম করোনা আক্রান্ত ও আবির একই জিমের সদস্য। তবে আবির জিমে যাওয়া অনেক আগেই বন্ধ রেখেছেন। পাশাপাশি সেই করোনা আক্রান্ত ছেলেটিও দেশে ফিরে জিমে যাননি।