নয় বছরের দাম্পত্য টেকেনি একসময়ে টেলিভিশনের অন্যতম আদর্শ দম্পতি হিসাবে পরিচিত আমির আলি ও সানজিদা শেখের। করোনা কালেই এই দম্পতি আলাদা হয়ে যান এবং ২০২১ সালে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ চূড়ান্ত করেন। ডিভোর্সের পর একমাত্র মেয়ের অভিভাকত্ব পান সানজিদা। একটি নতুন সাক্ষাত্কারে, আমির প্রকাশ করেছেন যে বিবাহবিচ্ছেদ কীভাবে তাকে প্রভাবিত করেছিল এবং ডিভোর্সের পর থেকে মেয়ে আয়রার সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ নেই তাঁর।
সানজিদা ও আয়রার সঙ্গে কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আমির বলেন, তিনি কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি। অভিনেতা আরও বলেন, ‘এটা জটিল, যেমনটা আমি বলেছি। সবার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রয়েছে, কিন্তু আমি (যোগাযোগে) নেই। আমি এই নিয়ে কথা বলতে চাই না। অনেক কিছু লেখা হয়েছিল কারণ আমি এবং আমার প্রাক্তন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে ডিভোর্স সম্পর্কে কথা বলব না এবং একে অপরের প্রতি সম্মান রাখব। কোনওরকম কাদা ছোড়াছুড়ি চাই না। আমার মনে হয় না আমরা কেউই এটা চেয়েছিলাম। আমি কখনোই তার বিরুদ্ধে কিছু বলিনি, কারণ আমাদের মধ্যে একটা সময় সম্পর্ক ছিল। আমি যার সাথে ছিলাম তার সম্পর্কে আমি কখনও তাঁর সম্পর্কে খারাপ কথা বলতে পারি না। মানুষ যা খুশি তাই লিখছিল, কিন্তু আমি এ ব্যাপারে কিছুই বলিনি’।
২০২০ সালের অগস্টে সারোগেসির মাধ্যমে জন্ম হয় আয়রার। মাস কয়েকের মধ্যেই আলাদা হন দুজনে। আমির তাঁর বিবাহবিচ্ছেদের পরের কঠিন সময় নিয়ে মুখ খুলেছেন, একটা সময় তাঁর ধারণা হয়েছিল তিনি ভালোবাসতে অক্ষম। তিনি লেখেন, 'ভিতরে ভিতরে কোথাও আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে আমি আমার হৃদয়ের সাথে লড়াই করছি। কখনও কখনও আপনি মনে করেন যে সবকিছু স্বাভাবিক, কিন্তু তারপরের মুহূর্তেই মনে হবে আপনি জানেন না যে কী চলছে। গত বছর আমি অনেক লোকের সাথে দেখা করছিলাম, কিন্তু যে মুহূর্তে কিছু ঘটে, আমি পালিয়ে যাই। আমি ভাবতে শুরু করলাম, ‘আমার মনে হয় না আমি আর ভালোবাসার যোগ্য’।
অভিনেতা আরও বলেন যে এই পর্বটি শেষ হয়েছিল যখন তিনি তাঁর বর্তমান বান্ধবী অঙ্কিতা কুকরেতির সাথে দেখা করেছিলেন। অঙ্কিতর সান্নিধ্যে এসেই তিনি উপলব্ধি করেন 'আমার এখনও একটি হৃদয় আছে'।
আমির আলির কেরিয়ার
আমির আলি ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় টিভি জগতে সক্রিয় রয়েছেন। তিনি কাহানি ঘর ঘর কি, ওহ রেহনে ওয়ালি মেহলোঁ কি এবং কেয়া দিল মে হ্যায়-এর মতো জনপ্রিয় হিন্দ ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন। তিনি এবং সানজিদা ২০০৭ সালে নাচের রিয়েলিটি শো নাচ বালিয়ে জিতেছিলেন। 'ইয়ে কেয়া হো রাহা হ্যায়?', 'আই হেট লাভ স্টোরিজ', 'ফারাজ'-এর মতো ছবিতেও দেখা গিয়েছে আমিররকে। অভিনেতাকে শেষবার জিও সিনেমার শো ডক্টরস-এ কাজ করেছেন।