মা ঐশ্বর্য আর দাদু অমিতাভের মতো বচ্চন পরিবারের সবচেয়ে খুদে সদস্য আরাধ্যাও থাকেন সবসময় লাইমসাইটে। স্কুলের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া হোক বা পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটানো, আরাধ্যার ছবির জন্য মুখিয়ে থাকেন নেটিজেনরা। এমনকী, ছোট্ট আরাধ্যাও পাপারাৎজিদের ক্যামেরার সামনে ছবির জন্য পোজ দেন সাবলীলভাবে। অভিষেক অবশ্য মেয়ের ট্রেনিংয়ের এই পুরো ক্রেডিট দেন ঐশ্বর্যকে। জানান, আরাধ্যা জানে ও বচ্চন পরিবারের অংশ। আর এটা ওকে বুঝিয়েছে ওর মা-ই।
অভিষেকের কথায়, ‘এশ্বর্য আমাদের মেয়ে আরাধ্যাকে সেই ছোট থেকেই বুঝিয়েছে ও বচ্চন পরিবারের সদস্য। ওর মা-বাবা, দাদু-দিদা সকলেই অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত। আর অনেক সৌভাগ্য যে, গোটা দেশের মানুষ আমাদের ভালোবাসে। ঐশ্বর্যই শিখিয়েছে আরাধ্যাকে মানুষের ভালোবাসাকে কীভাবে সম্মান জানাতে হয়।’
ঐশ্বর্যকে ধন্যবাদ দিয়ে অভিষেক আরও জানান, ‘ঐশ্বর্যের এই শিক্ষার জন্যই আরাধ্যা সমস্ত কিছু খুব স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করে। এমনকী, আমাদের সঙ্গে বসে আমাদের অভিনীত ছবিও দেখে খুব মজা করে।’
করোনার আগে কখনও কখনও দাদু অমিতাভের সঙ্গে জলসার বাইরে রবিবারে হওয়া ভক্তসমাগমের আসরে দেখা মিলত আরাধ্যার। বাংলোর বাইরে উপস্থিত সকলের উদ্দেশে দাদুর মতোই হাত নাড়ত এই খুদে।
২০১৭-র এক রবিবার প্রথমবার অমিতাভের সঙ্গে জলসা-র ছাদে দেখা গিয়েছিল আরাধ্যা বচ্চনকে। সেই সময় টুইটারে নিজের আর আরাধ্যার ছবি শেয়ার করে বিগ বি লিখেছিলেন, ‘শেষ পর্যন্ত আরাধ্যা শুভানুধ্যায়ীদের সামনে আসতে রাজি হয়েছিল। তবে অত লোক দেখে যে একটু ভয় পেয়েছিল, তা পরে স্বীকার করেছে। যদিও ওর যাবতীয় ব্যস্ততা ছিল নতুন পোষ্য বেড়ালটিকে নিয়ে। যার নাম দিয়েছে সল্ট পিপার।’