সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলার নিয়ে বিহার পুলিশের সঙ্গে মুম্বই পুলিশের টানাপোড়েনের ঘটনা কারুরই অজানা নয়। মামলা গড়িয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত। সুশান্ত সিং রাজপুতের হাই প্রোফাইল মৃত্যু মামলার তদন্ত সিবিআই গ্রহণ করবার চারমাস পরেও আশার আলো এখনও অধরা সুশান্ত অনুরাগীদের। তবে সুশান্তের মৃত্যু মামলার তদন্ত জারি থাকাকালীন মুম্বইতে আরও এক বিহারি অভিনেতার মৃত্যুর খবর ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল।
২৭ সেপ্টেম্বর রহস্যজনক পরিস্থিতিতে অন্ধেরির অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয় উঠতি অভিনেতা অক্ষত উত্কর্ষের মরদেহ। অম্বোলি পুলিশ সেই সময়ই জানিয়েছিল, আবসাদগ্রস্থ উত্কর্ষ আত্মহত্যা করেছেন। যদিও সেই তত্ত্ব মানতে রাজি ছিল না অভিনেতার পরিবারের লোকজন। শুরু থেকেই তাঁদের বক্তব্য খুন করা হয়েছে অক্ষতকে। মুম্বই পুলিশের কাছে সহযোগিতা না বিহারের মুজফফরপুর থানায় খুনের মামলা রুজু করে অক্ষতের বাবা বিজয়কান্ত চৌধুরী। ঘটনাটি আম্বোলি থানার জুরিশডিকশনের আওতাধীন হওয়ায় এক্ষেত্রে যদিও জিরো এফআইআর সঁপে দেওয়া হয় মুম্বই পুলিশকে। সেই এফআইআর মেনে অবশেষে খুনের মামলা দায়ের করল মুম্বই পুলিশ।
এফআইআরের কপিতে উত্কর্ষের বাবা এক উঠতি অভিনেত্রীর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তিনি বলেন- অক্ষতকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল সে। যা অস্বীকার করে অক্ষত। এরপর নিজের বোনের সাহায্য নিয়ে অক্ষতকে খুন করেছে ওই অভিনেত্রী।
অম্বোলি থানার সিনিয়র আধিকারিক সোমেশ্বর কামাথে বলেন- ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০২ (খুন) এবং ৩৪ (যৌথ অভিপ্রায়)- মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি।
অন্ধেরির ওই ফ্ল্যাটে এক মহিলা রুমমেইটের সঙ্গে থাকতেন অক্ষত। পুলিশকে দেওয়া বয়ানে সেই বান্ধবী জানিয়েছিল ঘটনার রাতে একদম স্বাভাবিক ছিল অক্ষত। প্রতিদিনের মতোই ডিনার সেরে তাঁরা ঘুমোতে যান। এরপর রাত ১১.৩০ নাগাদ ওয়াশরুমের যাওয়ার জন্য ঘুম থেকে উঠেন ওই মহিলা। সেই সময়ই অক্ষতের ঘরে তাঁর ঝুলন্ত দেহ নজরে আসে ওই রুমমেইটের। মুহূর্তের মধ্যেই পুলিশকে ফোন করে সে। অক্ষতকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এরপর তাঁর দেহ কুপার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অক্ষতের মরদেহ। সেখানেই ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানানো হয়- ‘ঝুলে পড়বার কারণে শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে’। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কোনওরকম ফাউল প্লে-র সম্ভাবনা বাদ দেওয়া হয়েছিল।