হালে জুটিতে এসেছিলেন দিদি নম্বর ১-এ, ওদিকে কাঞ্চনের দাবি সংসার মাত্র কুড়ি দিনের

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেও দিদি নম্বর ১-র মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন কাঞ্চন-পিঙ্কি।

পিঙ্কির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ কাঞ্চন মল্লিকের। 

নুসরত-যশ-নিখিলের ত্রিকোণ প্রেমের গল্পের মাঝেই শনিবার থেকে সংবাদ মাধ্যমে জায়গা করে নিয়েছে অভিনেতা বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক ও তাঁর স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে দাম্পত্যে ফাটল। আর এখানে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে উঠে আসছে অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজের নাম। এই প্রথম সংবাদমাধ্যমের কাছে এই নিয়ে সরব হলেন কাঞ্চন। তাঁর পক্ষ থেকেও একাধিক অভিযোগ উঠে গেল পিঙ্কির নামে। 

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেও জুটিতে কাঞ্চন আর পিঙ্কি যোগ দিয়েছিলেন ‘দিদি নম্বর ১’-র সেটে। সেখানে হাসিমজায় মাতিয়ে রেখেছিলেন গোটা এপিসোড। যা দেখে দর্শকরা ঠাহর করতে পারেননি মাসখানেক যেতে না যেতেই জল এতদূর গড়াবে। সম্প্রতি সেই এপিসোডের একটা ক্লিপিংস ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। যেখানে পিঙ্কির বলা ‘দিদি আমি এখনও ব্যানার্জী, ওই মল্লিক হতে পারিনি’, ‘ও মাখন দিক, আমার হাতে ছুড়ি আছে’র মতো কথাগুলো রীতিমতো হিট!

সে যাই হোক। কাঞ্চন মল্লিক কিন্তু বেশ গুরতর অভিযোগ এনেছেন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া নিজের সাক্ষাৎকারে। যেখানে তিনি দাবি করেছেন, বিয়ের পর ২০ দিনের বেশি পিঙ্কি শ্বশুরবাড়িতে ঘর করেনি। বরং, সব ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিল অভিনেতার অসুস্থ বাবা-মাকে বাড়িতে রেখে। কাঞ্চন মল্লিকের কথায়, ‘আমার মায়ের সঙ্গে নাকি থাকা যায় না! আমি মেনে নিয়েছি। আমার মা এর পর গুরুতর অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। ২ বার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেছেন। একটা সময় চির বিদায় নিয়েছেন। গত বছর আমার বাবাও চলে গিয়েছেন। পিঙ্কিকে কিন্তু পাশে পাইনি।’

অভিনেতার দাবি তিনি শ্রীময়ী চট্টরাজকে চেনেন অভিনয়সূত্রে। একসঙ্গে থিয়েটার কর্মশালায় যোগ দিয়ে অভিনয় শিখেছে। এমনকী, শ্রীময়ীকে নিয়ে নাকি পিঙ্কির চেতলার বাড়িতেও গিয়েছিলেন কাঞ্চন। তাই পিঙ্কি খুব ভালো করেই জানেন তাঁদের একসঙ্গে অভিনয় করার কথা, কাজ করার কথা। তাই শনিবার থকে পিঙ্কির একের পর এক দেওয়া বয়ান তাঁকে অবাক করেছে। 

আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তাই কাঞ্চন সরাসরি জানিয়েছেন, ‘এই পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমি চিনি না, যাঁকে আমি ৯ বছর আগে বিয়ে করেছিলাম। এবং যে মানুষ আমার ৮ বছরের একমাত্র ছেলের মা!’ একই সঙ্গে তাঁর দাবি অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিককে নিয়ে কখনও কোনও অভিযোগ জানানি পিঙ্কি। কিন্তু কাঞ্চন বিধায়ক হওয়ার পরেই  কেন এত ক্ষোভ, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।