আরজি কর নিয়ে জুনিয়র ডাক্তার ও শিল্পীদের প্রতিবাদে পথে নামা নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন কাঞ্চন মল্লিক। তারপর থেকেই ঘরে-বাইরে থুরি তৃণমূল দলের ভিতরে-বাইরে বেশ চাপে তিনি। কাঞ্চনকে নাম নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছিলেন দলের নেতা অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। এবার তাঁর বিরুদ্ধে গেলেন একসময় পাশে দাঁড়ানো দেবও।
ঘাটালের সাংসদ-অভিনেতা দেবকে কাঞ্চন মল্লিক নিয়ে প্রশ্ন করতেই জবাব এল, ‘এই কাঞ্চনদাকে আমি চিনি না!’ বলে রাখা ভালো, মাস kndতিন আগে ভোটের প্রচার চলাকালীন যখন কাঞ্চনকে তাঁর ৩ বিয়ে নিয়ে লোকের মনে তৈরি হওয়া রাগকে কারণ হিসেবে দেখিয়ে, ভোট প্রচারের গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন দেবই এগিয়ে এসেছিল। একেবারে বুক ঠুকে নিজের এলাকায় প্রচারে নিয়ে যান তিনি কাঞ্চনকে। যেই ছবি এখনও কাঞ্চনের সোশ্যাল প্রোফাইলের উপরেই (পিন পোস্টে) স্থান পায়। অনেকেই বুঝেছিলেন, নিজের সহ-অভিনেতা, দলের লোকের ‘অপমানের’ জবাব এভাবেই তিনি দেন কল্যাণকে।
তবে এবার আর কাঞ্চন পাশে পেলেন দেবকেও। এমনকী ক্ষমা চাওয়ার ভিডিয়ো শেয়ার করার পরেও। দেবকে আরও বলতে শোনা গেল, ‘কাঞ্চন মল্লিক যেটা বলেছেন সেটা দুঃখজনক। কল্যাণদা যে কাঞ্চন মল্লিককে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়েছিলেন, আমি সেটাকে সমর্থন করিনি। আমিই তাঁকে আমার প্রচারে ডেকে নিয়েছিলাম।’
কী বলেছিলেন কাঞ্চন?
আরজি করের ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের তরফে আয়োজন করা এক ধর্না মঞ্চ থেকে কাঞ্চন প্রশ্ন তোলেন, জুনিয়র ডাক্তাররা ‘সরকারের থেকে বেতন-বোনাস’ নেওয়ার পরেও, কেন কর্তব্যে অবহেলা করছে (আন্দোলন করে)? এরপর তিনি সেইসব শিল্পীদের কটাক্ষ করেন, যাদের একসময় সরকার পুরস্কার দিয়েছে কোনও না কোনও কারণে। কাঞ্চনের জিজ্ঞাসা ছিল, সেই সব শিল্পীরা কি তাহলে পুরষ্কার ফিরিয়ে দেবেন?
কাঞ্চনের এই বক্তব্যের পর রীতিমতো প্রতিবাদের ঝড় ওঠে টলিউডে। শিল্পীরা এগিয়ে এসে তাঁর কথার প্রতিবাদই করেনি শুধু, অনেকেই তৃণমূল সরকারের দেওয়া পুরষ্কার ফিরিয়ে দিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা, নাট্যব্যক্তিত্ব চন্দন সেন, বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায়, সঞ্জিতা মুখোপাধ্যায়রা।
চারদিকে প্রতিবাদের ঝড় উঠতেই, ভিডিয়ো করে ক্ষমা চেয়েছিলেন কাঞ্চন। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, তিনিও আর সবার মতো বিচার চান। মুখ ফসকে কিছু কথা বলে ফেলেছিলেন। যার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমাও চান। এরপরই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ডাক্তারদের প্রতিবাদের কারণে নাকি তাঁর এক বন্ধুর মা বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে। তাই আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারেননি।