মন্ত্র পড়ে নয়, বরং সই-সাবুদ করে আইনি বিয়ে সেরেছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য ও তাঁর দীর্ঘদিনের প্রেমিকা মধুরিমা গোস্বামী। বৃহস্পতিবার রাতে সল্টলেকের ন্যাশনাল মাইম ইনস্টিটিউটে বসেছিল এই জুটির বিয়ের আসর। একদম ঘরোয়া আয়োজনে, করোনাবিধি মেনে চারহাত এক হল অনিবার্ণ-মধুরিমার। এদিন বিয়েতে পুরোহিত ছিলেন না বটে, তবে সিঁদুরদান, মালাবদলের মতো রীতি মানলেন অনিবার্ণ-মধুরিমা।
বিয়ের দিন লাল শাড়িতে সেজেছিলেন মধুরিমা, তবে ট্র্যাডিশন্যাল বেনারসি নয়। সঙ্গে বোট নেট ব্লাউজ। পরেছিলেন ছিমছাম সোনার গহনা। অনিবার্ণও স্ত্রীর সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই লাল পাঞ্জাবিতে সেজেছিলেন অনিবার্ণ। বিয়ের অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিতের সংখ্যা ছিল কমবেশি ১০০ জন। মিডিয়ার প্রবেশে ছিল নিষেধাজ্ঞা। বিশিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাট্য ব্যক্তিত্ব ব্রাত্য বসু, জয়রাজ ভট্টাচার্য। আজ বিয়ের ভেন্যুতেই বসছে অনিবার্ণ-মধুরিমার রিসেপশন। হাজির থাকার কথা অনিবার্ণের ইন্ডাস্ট্রির কাছের বন্ধুদের।
অনিবার্ণ-মধুরিমার মালাবদলের ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
দীর্ঘদিনের আলাপ এই দম্পতির। প্রায় এক দশক পুরোনো এই প্রেম সম্পর্ক। ‘হাতিবাগান সঙ্ঘারাম’-এ একসঙ্গে বেশ কিছু নাটকে কাজ করেছেন তাঁরা। মধুরিমা পুরোদস্তুর রঙ্গমঞ্চের দুনিয়ার মানুষ। মূকাভিনয় নিয়ে তাঁর বিস্তর পড়াশোনা রয়েছে। অনির্বাণ-মধুরিমা দুজনেই রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যায়ের প্রাক্তনী।মধুরিমার বাবা পদ্মশ্রী সম্মানপ্রাপ্ত মূকাভিনয় শিল্পী নিরঞ্জন গোস্বামী। ‘হস্তগত’ আর ‘উদারনীতি’ বলে দু’টো নাটকে একসঙ্গে কাজ করেছেন অনিবার্ণ-মধুরিমা।
সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে এখন থেকে অনিবার্ণ-মধুরিমা দম্পতি। এই জুটির জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় উপচে পড়ছে শুভেচ্ছা।