কাছের মানুষের মৃত্যুতে শোকাহত অঙ্কুশ এবং ঐন্দ্রিলা। নিজেদের ছায়াসঙ্গীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করলেন অভিনেতা-অভিনেত্রী। অনুরাগীদের সঙ্গে দুঃখের কথা ভাগ করে নিলেন দুজনে। সামাজিক মাধ্যমে ছবি পোস্ট করে জানালেন তাঁদের শ্যুটিং ফ্লোরের ছায়াসঙ্গী ‘বাপ্পা দা’ আর নেই।
‘বাপ্পা দা’ বলেই আজীবন সম্বোধন করে এসেছেন অঙ্কুশ এবং ঐন্দ্রিলা। অঙ্কুশের কেরিয়ারের শুরু থেকে সারক্ষণ তাঁকে আগলে রাখলেন এই সহকর্মী। অঙ্কুশের কথায়, বাড়ির ভিতর বাবা-মা যেমন তাঁর খেয়াল রাখে, বাডির বাইরে সেইরকমই স্নেহ,যত্ন করত বাপ্পাদা। তিনি চলে যাওয়ায় অঙ্কুশের আগামী জীবনে যে বড় শূন্যতা তৈরি হল তা জানান অভিনেতা। তাঁর সঙ্গে ছবি পোস্ট করে শোকাহত অঙ্কুশ লিখেছেন, ‘আজ আমি আমার সবথেকে কাছের একজন মানুষকে হারালাম.. বাড়ির ভেতর যেভাবে বাবা-মা আমার খেয়াল রাখেন ঠিক তেমনই বাড়ির বাইরে এই মানুষটি আমায় মা-বাবার মতোই খেয়াল রাখতে.. ১০ বছরের এই পথ চলা কোনোদিনও ভুলব না.. যেখানেই থেকো ভালো থেকো বাপ্পা দা.. তবে আমাকে এভাবে ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য সারাজীবন অভিমান করব তোমার উপর.. শ্যুটিংয়ে সময় মতো ওষুধ খাব কিনা জানি না.. সময় মতো জল খাব কিনা জানি না.. ছোট্ট তোয়ালে দিয়ে আমার শরীরের ঘাম কে মুছিয়ে দেবে জানিনা.. এইভাবে অভ্যেস খারাপ করে দিয়ে চলে গেলে এর জন্য ক্ষমা করব না.. জানি সম্ভব না, তাও পারলে ফিরে এসো..’
অন্যদিকে, বাপ্পা দা’র চলে যাওয়ায় শোকাহত ঐন্দ্রিলাও। তাঁর সঙ্গে ছবি পোস্ট করে ছোট্ট ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘১৫ বছর দাদা-বোনের সম্পর্ক শেষ করে চলে গেলে বাপ্পা দা.. ভালো থেকো’।
অভিনেতা-অভিনেত্রীর পোস্টে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে এই বাপ্পা দা-ই ছিল তাঁদের শ্যুটিং ফ্লোরের দীর্ঘ দিনের ছায়াসঙ্গী। তবে কীভাবে তাঁদের প্রিয় মানুষের মৃত্যু, তা জানা যায়নি।