পলিগ্রাফ টেস্টে সম্মতি ছিল। তবে নারকো অ্যানালাইসিস টেস্টে সম্মতি নেই কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলিন্টিয়ার সঞ্জয় রাই-এর। CBI-এর নারকো টেস্টের আবেদনে শুক্রবার শিয়ালদহ হাইকোর্টে এই পরীক্ষায় আপত্তি জানায় সে। এরপর বিচারক বলেন, যাঁর নারকো অ্যানালিসিস টেস্ট করা হবে, তাঁর সম্মতি ছাড়া এটা করা শুধু অসাংবিধানিকই নয়, এটা তাঁর মানবাধিকার লঙ্ঘন। এই আবহে সিবিআই-এর নারকো টেস্টের আবেদন খারিজ করা হয়।
এই ঘটনায় এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হলেন টলি অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা। কী লিখেছেন অঙ্কুশ?
অঙ্কুশ লেখেন, ‘একটি মেয়ের গায়ে হাত দেওয়ার জন্য অনুমতি লাগুক বা না লাগুক। তবে একজন ধৃত আসামীর উপর নারকো টেস্ট করাতে গেলে তার অনুমতি থাকাটা জরুরী। বাহ রে আমাদের আইন।’
আরও পড়ুন-'হাতটা ক্রমেই শরীরের নিচের দিকে…' অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন আরও এক অভিনেত্রী
অঙ্কুশের এই মন্তব্যের নিচে নেটিজেনদের কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। একজন লিখেছেন, ‘দিন দিন তোমার প্রতি শ্রদ্ধা বেড়েই যাচ্ছে নিজের মেরুদন্ড সোজা রাখতে পেরেছো তোমাকে salute’। কেউ লিখেছেন, ‘সে এক ভারী আজব দেশ, রাজামন্ত্রী আছেন বেশ।’ কারোর মন্তব্য, ‘নারকো টেস্ট যার প্রতি হচ্ছে যদি কিছু নাইবা করে থাকে তাহলে সে ভয় পাচ্ছে কেন অনুমতি দিচ্ছে না কেন টেস্ট করাতে’। কারোর অকপট স্বীকারোক্তি, ‘আপনাকে নিয়ে সবসময় সবাই খিল্লিই করেছি, কিন্তু এখন সত্যি সত্যি শ্রদ্ধা হচ্ছে’।
প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদেও শুরু থেকেই সরব ছিলেন অঙ্কুশ। আর সঞ্জয় রাই-এর নারকো টেস্টের খারিজ হওয়ার পরও নিজের মতামত তুলে ধরলেন অভিনেতা, প্রযোজক অঙ্কুশ।
এদিকে সঞ্জয় রাই নারকো টেস্টে সম্মতি না দেওয়ায় তদন্তকারীদের মনে প্রশ্ন, তবে কি সঞ্জয় রায়ের কিছু লুকোনোর না থাকে, তাহলে নারকো টেস্টে বাধা কেন দিল সে? রিপোর্ট অনুযায়ী, তদন্তকারীদের আশঙ্কা, এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত থাকলে তাকে বাঁচাতে কিংবা আরও যা ঘটেছে, সেই কথা প্রকাশ না আনতেই কি তবে নারকো টেস্ট থেকে পিছু হটেছে সঞ্জয়।
প্রসঙ্গত, নিয়ম অনুযায়ী নারকো টেস্টের ক্ষেত্রে ৭ টা ওষুধ ইনজেক্ট করা হয়, যার ফলে সচেতন মন কাজ করে না। সেই অবস্থায় তাকে প্রশ্ন করা হয় ও উত্তর রেকর্ড করা হয়। এদিকে এদিকে আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়ের 'টিথ ইম্প্রেশন' সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর সঞ্জয়ের দাঁতের কামড়ের চিহ্নের নমুমা নেওয়া হয়েছে। এর আগে সিএফএসএল বিশেষজ্ঞদের মত ছিল, কামড়ের দাগ অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়রের।