রাবণ না থাকলে রামায়ণ কেমন হত? এই প্রশ্নের উত্তর কারুর জানা নেই। তবে টেলিভিশনের পর্দার রাবণ সোশ্যাল মিডিয়ায় এতদিন গায়েব থাকায় নেটদুনিয়ায় রামায়ণ পরিবারে একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছিল-তা ভালোই টের পাচ্ছিলেন রামায়ণের ভক্তরা। পর্দার রাম, লক্ষ্ণণ, সীতা সকলেই টুইটার পরিবারের অংশ-এবার সেই তালিকায় জুড়ে গেলেন রামানন্দ সাগরের রামায়ণের রাবণ, অভিনেতা অরবিন্দ ত্রিবেদী।
শনিবার টুইটারে পথচলা শুরু হল এই বর্ষীয়ান অভিনেতার। তিনি তাঁর প্রথম টুইটে ভক্তদের উদ্দেশে লেখেন, 'ছেলেমেয়েদের কথায় আর আপনাদের ভালোবাসায় টুইটারে এলাম। এটা আমার আসল আইডি.....'।
আশির দশকে সম্প্রচারিত রামায়ণ ভারতীয় টেলিভিশনে ইতিহাস রচনা করেছিল। ৩০ বছর পরেও এই কাল্ট ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তায় এতটুকুও ভাটা পড়েনি, তা ভালোভাবেই টের পাওয়া যাচ্ছে। লকডাউনের সময় পাবলিক ডিম্যান্ডে পর্দায় ফিরেছে রামায়ণ। তারপর থেকেই BARC-এর রিপোর্টে নিত্য নতুন কীর্তি তৈরি করেছে এই ধারাবাহিক। গোটা দেশ ব্যস্ত আশির দশকের সেই নস্ট্যালজিয়ায় গা ভাসাতে। রাবণকে টুইটারে দুনিয়ায় স্বাগত জানিয়েছেন তাঁর ভক্তরা। কেউ কেউ জানাচ্ছেন ছোটবেলায় এই রাবণকে কতটা ভয় পেত তাঁরা, কেউ আবার মজাদার মিম শেয়ার করছে। #RavanOnTwitter আপতত ট্রেন্ডিং টপিক টুইটার ইন্ডিয়ায়। দেখুন টুইটারবাসীর প্রতিক্রিয়া-
আশির গন্ডি পেরিয়েও নতুন কিছু শুরু করার এই সাহসটা দর্শকরাই তাঁকে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিনেতা। দীর্ঘ সময় ধরে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অরবিন্দ ত্রিবেদী। কাজ করেছেন প্রায় ৩৫০ বেশি ছবিতে। তবে তাঁকে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি দিয়েছে রামায়ণের রাবণ চরিত্রটি। রামায়ণের অন্য অভিনেতার মতোই সিরিয়াল শেষ হওয়ার পর ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেন অভিনেতা। ১৯৯১ সালে লোকসভা নির্বাচনে শবরকথা কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে জিতে সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি।