'অভিনেতা ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায় 'এক্কাদোক্কা'তে পেটের দায়ে বাবা, কাকার চরিত্রে অভিনয় করছেন। জনপ্রিয় অভিনেতা, প্রযোজক মন্টু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলে হয়েও উনি পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করছেন। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের সঙ্গে উনি প্রভাত রায়ের শ্বেতপাথরের থালায় জুটি বেঁধেছিলেন। অনুশ্রী দাসের সঙ্গে ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের রসায়ন দর্শকদের পছন্দ ছিল। নায়কের চরিত্রে ৮, ৯ এর দশকেই তাঁকে দেখা যেত। তারপর আর সেভাবে সাফল্য পান নি'। এক প্রতিবেদনে লেখা এমনই কিছু লেখায় বেজায় বিরক্ত অভিনেতা ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলে ইন্দ্রীনাল বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের ফেসবুক পেজে এধরনের প্রতিবেদনে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অভিনেতা ভাস্করের ছেলে ইন্দ্রনীল।
বর্তমানে কর্মসূত্রেই মুম্বইতে থাকে ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলে ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায়। ইন্দ্রনীল ফেসবুকে একটি ভিডিয়োর মাধ্যমে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ইন্দ্রনীল বলেন, ‘বাবা সাইড রোল কেন করছেন, সেগুলি আপনি ওই মানুষগুলিকে জিগ্গেস করুন, যাঁরা আমার বাবাকে উপযুক্ত ব্যবহার করতে পারেননি। শুধু বাবা নন, বাবার মতো অভিষেক চট্টোপাধ্যায় সহ সেসময় অনেক ভালো অভিনেতাই ছিলেন, যাঁদের ব্যবহার করা হয়নি। শাশ্বত কাকু, যিশু আঙ্কেল ভাগ্যিস মুম্বই চলে গিয়েছেন, এখানে থাকলেও ওঁদের সঙ্গেও হয়ত একই ব্যবহার করা হত। যাঁরা বাইরে যেতে পারেননি, তাঁরা ভুক্তভোগী, অনেকে হতাশ হয়ে মারাও গিয়েছেন, না হয় ঘরে বসে হয়ত এজেন্টের কাজ করছেন। এধরনের অনেক ঘটনা আছে।…তবে যেধরনের প্রতিবেদন বের হয়েছে, তাতে আমি বিরক্ত।’
ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্য়ায় আরও বলেন, ‘এক তো আমার দাদু কোনও জনপ্রিয় অভিনেতা ছিলেন না, উনি প্রযোজক ছিলেন। উত্তম কুমারের বন্ধু হওয়ার সুবাদে ওঁর অনুরোধে কিছু অভিনয় করেছেন। আমাদের পরিবার অভিনেতা একজনই আর উনি ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়। অনেকেই আছেন যাঁরা জানেন বাবার কী অবদান রয়েছে এই ইন্ডাস্ট্রির জন্য।…এই ট্যালেন্টগুলো সৃজনশীল কাজে ব্যবহার করলে আজ আমরা অনেক দূর এগোতে পারতাম।সারাদিন, পিএনপিসি করে, একে ছোট, ওকে ছোট করে কোনও লাভ নেই। এসব না করে ভালো কিছু সৃষ্টিতে কেন কেউ মন দিচ্ছেন না! ধরনের লেখা, আমাদের পরিবার নিয়ে কোনও বাজে কথা আমি শুনতে চাই না। স্পষ্ট বলছি, আমার বাবা পেটের দায়ে কোনও কাজ করছেন না। ইন্ডাস্ট্রির সৃজনশীল লোকজনকে বলুন ভালো চিত্রনাট্য লিখতে তবে তো অভিনেতারা অভিনয় করবেন…’।
ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ভিডিয়োর নিচে অনেকেই তাঁর সমর্থন করেছেন। অনেকেরই মত, 'ইন্দ্রনীল ঠিকই বলছেন, এধরনের যা খুশি তাই লেখা উচিত নয়।' কারোর দাবি, ‘ইন্ডাস্ট্রি বহুদিন আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে…’। এমনই নানান কথা উঠে এসেছে কমেন্ট বক্সে।