টলিগঞ্জের ইয়ং ব্রিগেডের অন্যতম মুখ বনি সেনগুপ্ত। কাজের ব্যস্ততা না থাকলে পরিবার আর বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতেই সবচেয়ে ভালোবাসেন বনি। লকডাউনের জেরে ১৪২৭-কে বাড়ি বসেই স্বাগত জানাচ্ছেন 'বরবাদ' তারকা। মায়ের হাতের পোলাও-মটন থেকেই নতুন বাংলা বছরটা শুরু করছেন বনি। আপসোস একটাই, লকডাউনে অল্প সময়ের জন্যও যদি একটু ছাড় পেতাম.... তাহলে কী করতেন তিনি? জানালেন HT Bangla-কে।
মায়ের হাতের রান্না দিয়েই শুরু বনির নতুন বছর
এই বছর তো যা বাজে পরিস্থিতি বিশেষ কোনও প্ল্যান করা যাচ্ছে না। কিন্তু নতুন জামা প্রচুর কেনা রয়েছে, সেগুলো বাড়িতেই পরে নেব। মা বলেছে পোলাও করবে,মটন করবে আর পায়েস তো মাস্ট-সেগুলো দিয়েই কাটিয়ে নেব। বাবা-মায়ের সঙ্গেই আজ সারটা দিন কাটাচ্ছি। এইটাই স্পেশ্যাল প্ল্যান।
'লকডাউনে অল্প সময়ের ছাড় পেলে কৌশানির হাতের রান্নার খেতে ওর বাড়ি যাব'
কৌশানি নিশ্চয় আজও স্পেশ্যাল কিছু বানাবে। ও তো যে পরিমাণে রান্না করছে,লকডাউন খুললে বোধহয় মাস্টার শেফে নাম দেবে কৌশানি। ইতালিয়ান, বিরিয়ানি থেকে ফুচকা কিছু বাদ দিচ্ছে না। লকডাউন যখন শুরু হয় তখন ওখানেই আটকে ছিলাম আমি, কৌশানির বাড়ি। সেই সময় আমি কৌশানির হাতে দারুণ কিছু রান্না খেয়েছি-চিকেন লবাবদার, পাস্তাটা খুব সুন্দর করেছে। আর ডেজার্টও দারুণ বানাচ্ছে কৌশানি। মানে লকডাউনে যদি অল্প সময়ের জন্য ছাড়া দেয় আমি কৌশানির বাড়ি থেকে চলে যাব।
ছোটবেলার স্মৃতি
হালখাতা করতে যেতাম বাবার সঙ্গে, আর মায়ের সঙ্গে তো অবশ্যই সোনার দোকানে যেতাম। মায়েদের ফেবারিট জায়গা আর কি। তবে আমার দাদু (সুখেন দাস) নববর্ষে নিজের বাড়িতেই একটা অনুষ্ঠান মানে ওই পার্টির আয়োজন করতেন। বাংলা ইন্ডাস্ট্রির সব রথী-মহারথীরা ওখানে থাকত। দিদা রান্না করত নিজের হাতে- পোলাও,চিকেন আর কত কী! প্রচুর খাওয়া-দাওয়া হত। হয়ত আমি সেই সময় বুঝতাম না,কত ভাগ্যবান ছিলাম আমি। ছোটবেলায় পয়লা বৈশাখের দিন দাদুর সান্নিধ্যে দারুণ কিছু সময় কেটেছে আমার, আজও সেই সব স্মৃতি মনে রয়ে গিয়েছে।
অনুরাগীদের জন্য বার্তা
সবাই একটাই কথা বলব-প্লিজ সবাই বাড়িতে থাকুন, লকডাউন মেনে চলুন। সেটা মানলেনই করোনা সংকট আমরা কাটিয়ে উঠতে পারব। এটাই এখন সবচেয়ে জরুরি। আশা করি সবকিছু তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যাবে। বাড়িতে থাকার সুযোগ যখন এসেছে-নিজেকে সময় দাও, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাও। সবশেষে সবাইকে জানাই, শুভ নববর্ষ।