এপার-ওপার দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে চুপ সৃজিতের ‘পদাতিক’ নায়ক। সোশ্যাল মিডিয়াতেও দীর্ঘদিন দেখা নেই তাঁর। বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের সময় নীরবতা নিয়ে ট্রোলের শিকার হয়েছিলেন, তারপর থেকেই ফেসবুককে একপ্রকার বিদায় জানিয়েছেন চঞ্চল। আরও পড়ুন-বিমান থেকে নামিয়ে আটক চঞ্চল চৌধুরীকে? অশান্ত বাংলাদেশে গৃহবন্দি পর্দার ‘মৃণাল’?
এর মাঝেই সংবাদ প্রতিবেদনের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ১৭ দিন আগে ঢাকা থেকে নিউইয়র্ক যাচ্ছিলেন চঞ্চল চৌধুরী। দুবাই থেকে নিউইয়র্ক যাওয়ার কথা ছিল তার। পরিকল্পনামাফিক ঢাকা থেকে বিমানেও ওঠেছিলেন নায়ক। কিন্তু বিমান ছাড়া আগে তাঁকে আটক করে বাংলাদেশি সেনা, এরপর গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে চঞ্চল চৌধুরীকে। এই নিয়ে অবশ্য গর্জে উঠে বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম। জানানো হয়, এই খবর ভুয়ো।
আজকের পত্রিকাকে অভিনেতা নিজের মুখে বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি আমার সঙ্গে। এই খবরের কোনো সত্যতা নেই। পুরোপুরি মিথ্যা। এমনকি গত কয়েক মাস যাবত কোনও সাংবাদিকের সঙ্গেই আমার কথা হয়নি। কীভাবে এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ করা হলো, তা আমার জানা নেই।’ অন্যদিকে টিভি নাইন বাংলাকেও একই কথা বলেছেন চঞ্চল চৌধুরী। জানিয়েছেন, এই খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা। তবে ওপার বাংলার পরস্থিতি নিয়ে কোনওরকম মন্তব্য করতে চাননি চঞ্চল চৌধুরী।
বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের সময় চঞ্চলের নীরবতা ভালো চোখে দেখেননি অনেকেই। যদিও গত ১৭ জুলাই তৎকালীন হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধেই মতপ্রকাশ করে অভিনতা লিখেছিলেন, ‘সমাধানের অন্য কোনও পথ কি খোলা ছিল না? গুলি কেন করতে হল? বুকের রক্ত না ঝরিয়ে সুষ্ঠু সমাধান করা যেত না?’ ৯ অগস্ট চঞ্চল সমাজমাধ্যমে শেষ পোস্টটি করেন। তাতে লেখা রয়েছে, 'পেশাগত কারণ ছাড়া কোনও কিছুর সঙ্গে আমার কোনও সম্পৃক্ততা নেই। আমার মায়ের চরম অসুস্থতাজনিত কারণে সাম্প্রতিক সময়ে আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুব বেশি সক্রিয় নই। দেশে শান্তি বিরাজ করুক, সকলের মঙ্গল হোক।'
আরও পড়ুন-আদৃত ম্যাজিক ডাহা ফেল! শীর্ষে ‘কথা’, শুরুতেই বাজিমাত গৃহপ্রবেশের, রইল TRP তালিকা
গত মাসে ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বা চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারির জেরে দু-দেশের সম্পর্ক আরও তলানিতে ঠেকেছে। মহারাজের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সরব এপার বাংলা। সেই নিয়েই বিরোধ চরমে। যদিও শেখ হাসিনা ক্ষমতাচূত হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের বদলে যাওয়া রাজনৈতিক সমীকরণের সঙ্গে সমস্যা তৈরি হয়েছে ভারতের।
বিশ্ব শান্তিতে অবদানের জন্য নোবেল পাওয়া মহম্মদ ইউনুসেরহাতে এখন বাংলাদেশের শাসনভার। অথচ সেদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ ধেয়ে আসছে বরাবার, তবে সেই অভিযোগ মানতে না-রাজ ইউনূস সরকার।