অভিনয় দুনিয়ায় ‘কাস্টিং কাউচ’-এর ঘটনা নতুন নয়। বহুবার বহু তারকাই ‘কাস্টিং কাউচ’ নিয়ে মুখ খুলেছেন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যৌন হেনস্থার মুখোমুখি হতে হয়েছে অভিনেত্রীদের। তবে 'কাস্টিং কাউচ'-এর মুখোমুখি শুধু অভিনেত্রীরা নন, অভিনেতারাও হন। সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া এমনই এক ঘটনার কথা সামনে এনেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা চন্দন কে আনন্দ।
চন্দন চন্দন কে আনন্দ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, তিনি কাজের জন্য কেরিয়ারের শুরুর দিকে একজন মধ্যস্থতাকারীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। যিনি তাঁর কাছে পোর্টফোলিও চেয়ে বলেন, ‘জানেন তো আপস করতে হবে কিন্তু।’ অভিনেতার কথায়, আমিও তাঁকে পাল্টা প্রশ্ন করি, ‘সেটা আবার কী? তারপর তিনি বললেন ছবি তো দিন তারপর ফোন করছি। তারপরই আমি ওই মধ্যস্থতাকারীর অফিস ছেড়ে বের হয়ে আছি। আর যাই নি। আমার মনে হয় এধরনের লোকজন সারা পৃথিবীতেই রয়েছে, তবে আপনি যদি নিজের নীতি ভাঙতে না চান, তাহলে আপনার সঙ্গে কখনওই খারাপ কিছু ঘটবে না।’
অভিনয় জীবনে পা রাখা কতটা কঠিন ছিল বলে মনে হয়? এই প্রশ্নে চন্দন বলেন, 'হ্যাঁ, শুরু দিকে পরিস্থিতি কঠিন তো ছিলই। তবে আমি বিশ্বাস করি, জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই সুন্দর। এই ভাবনাই জীবনে আমাকে অনেক কিছু উপহার দিয়েছে। ২০০৪ সালে আমি মাত্র ২০০০ টাকা নিয়ে আর অনেক স্বপ্ন মুম্বই এসেছিলাম। আর ৪২৫ টাকা দিয়ে ট্রেনের টিকিট কেটেছিলাম। বরিভালিতে নেমে ট্রেনে উঠে সোজা গোঁরেগাঁও পূর্বে পৌঁছে যাই কলেজের এক সিনিয়ারের বাড়িতে। উনি তখন দূরদর্শনের এক অনুষ্ঠানের জন্য শিডিউলার হিসাবে কাজ করছিলেন, ওখানে ৮জ মিলে থাকা শুরু করলাম, বাকিটা ইতিহাস। আজ অবশ্য মুম্বই শহরে নিজের বাড়ি আছে।'
চন্দনকে শেষবার নেটফ্লিক্স সিরিজ 'ক্লাস'-এ দেখা গিয়েছিল। যেটি কিনা স্প্যানিশ হিট সিরিজ ‘এলিট’-এর রিমেক। পরিচালক হলেন অসীম আলুওয়ালিয়া। গত ফেব্রুয়ারি থেকে এই সিরিজটির স্ট্রিমিং শুরু হয়েছে।