বাংলার একুশের ভোটকে পাখির চোখ করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। তৃণমূল শাসিত রাজ্যে গণতন্ত্র নেই বলে বারবার তোপ দেগেছেন বিজেপি নেতারা। শুভেন্দু অধিকারীর দলবদলের পর থেকেই রাজনীতির হাওয়ার উত্তপ্ত গোটা বাংলায়। এবার গণতন্ত্র বানান ভুল লিখে তৃণমূল শিবিরের বিদ্রূপের শিকার গেরুয়া বাহিনী।
২১-এর বিধানভার নির্বাচনের আগে, ইতিমধ্যে শাসক-বিরোধী তরজা তুঙ্গে।নির্বাচনী প্রচার ক্রমেই ডানা মেলছে। এমনই একটি প্রচার সভায় বাংলায় ‘গণতন্ত্র’হীনতার দাবি করেছিল বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু সেখানেই গণ্ডগোল! বিজেপির এক ফ্লেক্সে ভুল বানান নজরে আসে অভিনেতা ও যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সোহম চক্রবর্তীর। এরপরই দন্ত-ন এবং মূর্ধ-ণ-এর পার্থক্য বোঝালেন তিনি।
সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী তাঁর টুইটার প্রোফাইলের কভারে এক প্রচারসভার ছবি দিয়েছিলেন। যেখানে জ্বলজ্বল করছে পিছনের ব্যানার। তাতে লেখা- ‘অপশাসন হাটাও, গনতন্ত্র বাঁচাও’। এই স্লোগানের ব্যানারটিতে গণতন্ত্রের বানানে মূর্ধণ্য-এর জায়গা ছিল দন্ত্য ন। সেই বানান দেখেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন সোহম। শুধু ভুল সংশোধনই করলেন না, পাছে বিজেপি-কে একহাতও নিলেন তিনি।
এরপরই, টুইটারে শুভেন্দু অধিকারীর প্রোফাইলের ছবির স্ক্রিনশট পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘গণতন্ত্র তো মানেন না, অন্তত শব্দের বানানটা তো ঠিক করে লিখতে পারতেন’। সঙ্গে বাংলার বিজেপিকে ট্যাগ করতে দেখা যায় সোহমকে।
প্রসঙ্গত, এর আগে বাংলা বানান নিয়ে একাধিকবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। বিজেপির ফ্লেক্স-ব্যানার হোক কিংবা তাঁদের নেতামন্ত্রীদের মন্তব্য থেকে উচ্চারণ, বাংলার সংস্কৃতিকে অনেকাংশেই অপভ্রংশের অভিযোগ তুলেছে শিক্ষিতমহল। এবার সেই বিষয় বিজেপি-র বানান ক্লাস নিলেন সোহম চক্রবর্তী।
উল্লেখ্য, টলিউডের প্রথম সারির অভিনেতা সোহাম চক্রবর্তী যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকও বটে। ২০১৬ সালে দুর্গাপুর বড়জোড়া থেকে বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়ে হেরে গিয়েছিলেন তারকা অভিনেতা। বছর চারেক আগে থেকেই বেশ সক্রিয়ভাবে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত তিনি।