মাদক নিয়ে রাস্তায় একপ্রকার অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে দুই তরুণী। ওই দুই তরুণী খুব সম্ভবত প্রথম বর্ষের ছাত্রী বলেই মনে করা হচ্ছে। পুণের ভেতাল হিল এলাকায় শরীরচর্চার জন্য দৌড়াচ্ছিলেন অভিনেতা রমেশ পরদেশী। তখনই তিনি ওই দুই তরুণীকে মাদকাচ্ছন্ন অবস্থায় দেখতে পান। দুই তরুণীর পাশে তখন পড়ে ছিল মদের বোতল সহ নেশার নানান সামগ্রী। নিরাপত্তার জন্য অভিনেতা রমেশ পরদেশী ও অন্যান্যরা মিলে ওই দুই তরুণীকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যান।
তবে শুধু ভিডিয়ো পোস্ট করাই নয়, অভিনেতা ভিডিয়োটির মাধ্যমে পুণেবাসীকে সচেতন করারও চেষ্টা করেন। প্রশ্ন তোলেন একসময় শিক্ষা সংস্কৃতির পীঠস্থান বলে পরিচিত পুণে ক্রমাগত নেশার কেন্দ্র হয়ে উঠছে। অভিনেতা অভিভাবকদের কাছে আবেদন করেন সন্তানরা ঠিক কী করছে তা নিয়ে তাঁরা যেন সচেতন হন।
সকলের উদ্দেশ্যে অভিনেতাকে বলতে শোনা যায়, আপনি কি একজন সচেতন নাগরিক? তাহলে এখনই সচেতন হওয়ার সময় এসেছে। আর সেটা নাহলে পুণের অবস্থা 'উড়তা পঞ্জাব'-এর মতো হয়ে যাবে। প্রসঙ্গত উড়তা পঞ্জাব ছবিতে মাদকের প্রভাবে পঞ্জবের তরুণ সম্প্রদায়ের ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতির কথা তুলে ধরা হয়েছিল।
পুণেতে সম্প্রতি ৪০০০ কোটি টাকার মাদক উদ্ধারের ঘটনার সঙ্গে এই ঘটনার যোগ থাকতে পারে বলে মত প্রকাশ করেছেন অভিনেতা রমেশ পরদেশী। তিনি এই পরিস্থিতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়ার আহ্বান জানান।
এদিকে দুই মাদকাচ্ছন্ন তরুণীর ভিডিয়ো অভিনেতা রমেশ পরদেশী সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পরই তা ভাইরাল হয়ে যায়। অভিনেতার সেই ভিডিয়োর নিচে বহু নেটিজেন নানান মন্তব্য করেছেন। বিশেষ করে পুণের ভেতাল হিল এলাকা, যেখানে লোকজন সাধারণত শরীরচর্চার জন্যই যান, সেখানে এভাবে দুই তরুণীকে পাওয়া যাওয়ায় অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
নেশাগ্রস্ত অবস্থায় পুণের দুই তরুণীর ভাইরাল ভিডিওতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, কসবার (পুনে) বিধায়ক রবীন্দ্র ধাঙ্গেকর। যিনি সম্প্রতি যুব সম্প্রদায়কে মাদকের অপব্যবহার ও আসক্তি সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন। পুণেকে এমন ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে বাঁচানোর প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, এটা অগণিত পরিবারকে বিপন্ন করে তুলবে।
ভিডিওটির প্রতিক্রিয়ায় ধাঙ্গেকর বলেন, ‘পুণেতে এই সম্প্রতিক প্রবণতা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। একটা শহর যেটা সভ্যতার জন্য বিখ্যাত, সেখানেই আজ মাদকের রমরমা এবং মাদকের গোপন মাদক কারখানার সন্ধান আরও উদ্বেগ বাড়িয়েছে। যুবকরা মাদকাসক্তিতে আত্মহত্যা করছে। আমি এর প্রতিবাদ করছি এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি’।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দিল্লি, পুপুণে সহ নানান জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৪০০০ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার করে NCB। দেখা যায়, লবনের ব্যবসার আড়ালে চলছে মাদকের ব্যবসা।