দিব্যা ভারতী। তিন বছর দীর্ঘ অভিনয় জীবনেই আসমুদ্র হিমাচলের মনে জায়গা করে নিয়েছেন এই বলি নায়িকা। ৫ই এপ্রিল, ১৯৯৩, মাত্র ১৯ বছর বয়সে অকালেই চলে গিয়েছিলেন দিব্যা। মৃত্যুর ২৭ বছর পরেও দিব্যা ভারতীর মৃত্যুও আজও এক অজানা রহস্য। শুধুই কী দুর্ঘটনা নাকি এর পিছনে ছিল কোনও ষড়যন্ত্র? উত্তর মেলেনি।
পুলিশ ফাইল বলছে, দিব্যা ভারতীর মৃত্যু ছিল দুর্ঘটনা। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে মদ্যপ অবস্থায় পাঁচতলা অ্যাপার্টমেন্টের ব্যালকনির রেলিং ধরে হাঁটছিলেন দিব্যা, পা পিছলে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে,মাথায় গভীর চোটের চিহ্ন ছিল দিব্যার।
যদিও দুর্ঘটনার এই তত্ত্বকে আজও মেনে নিতে পারেনি ভক্তরা। দিব্যা ভারতীর মৃত্যু নিয়ে বলিউডের অন্দরেও অনেক গল্প শোনা যায়। কারুর মতে এটা ছিল ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা করে খুন, কারুর মতে আত্মহত্যা করেছিলেন অভিনেত্রী।
২০১১ সালে হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবদন থেকে জানা যায় মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগেই দিব্যা ভারতীর মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। সাংবাদিক রোশমিলা ভট্টাচার্য লেখেন, 'আমার মনে আছে ১৯৯৩-এর এপ্রিলের ওই দিনটা। আমি সবেমাত্র অফিসে পা রেখেছি,যখন খবর এল দিব্য ভারতীকে গুলি মারা হয়েছে। আমি প্রশ্ন করেছিলাম কে ছবি তুলেছে গৌতম রাজাধ্যক্ষ না রাকেশ শ্রেষ্ঠ? আমি সহকর্মী জানিয়েছিল কেউ ছবি নেয়নি। বলেছিল আন্ডারওয়ার্ল্ডের যোগসূত্র রয়েছে এই ঘটনায়। এরপর খোঁজ নিয়ে স্পষ্ট জানাই এটা গুজব, কিন্তু কয়েক মিনিটের মধ্যে খবর আসে দিব্যা ভারতী আর নেই'!
‘হাসপাতাল থেকে আমরা জানতে পারি দিব্যা ওর ব্যালকনি থেকে পা পিছলে পড়ে গিয়েছ, গুঞ্জন শোনা যায় আত্মহত্যা, এমনকি খুনেরও। তবে শেষমেষ পুলিশ ফাইলে তাঁর মৃত্যুর ঘটনাকে একটা সাধারণ দুর্ঘটনা বলেই উল্লেখ করে কেস ডায়রি বন্ধ করে দেওয়া হয়’।
দিব্যা ভারতী। তিন বছর দীর্ঘ অভিনয় জীবনেই আসমুদ্র হিমাচলের মনে জায়গা করে নিয়েছেন এই বলি নায়িকা। ৫ই এপ্রিল, ১৯৯৩, মাত্র ১৯ বছর বয়সে অকালেই চলে গিয়েছিলেন দিব্যা। মৃত্যুর ২৭ বছর পরেও দিব্যা ভারতীর মৃত্যুও আজও এক অজানা রহস্য। শুধুই কী দুর্ঘটনা নাকি এর পিছনে ছিল কোনও ষড়যন্ত্র? উত্তর মেলেনি।
পুলিশ ফাইল বলছে, দিব্যা ভারতীর মৃত্যু ছিল দুর্ঘটনা। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে মদ্যপ অবস্থায় পাঁচতলা অ্যাপার্টমেন্টের ব্যালকনির রেলিং ধরে হাঁটছিলেন দিব্যা, পা পিছলে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে,মাথায় গভীর চোটের চিহ্ন ছিল দিব্যার।
যদিও দুর্ঘটনার এই তত্ত্বকে আজও মেনে নিতে পারেনি ভক্তরা। দিব্যা ভারতীর মৃত্যু নিয়ে বলিউডের অন্দরেও অনেক গল্প শোনা যায়। কারুর মতে এটা ছিল ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা করে খুন, কারুর মতে আত্মহত্যা করেছিলেন অভিনেত্রী।
২০১১ সালে হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবদন থেকে জানা যায় মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগেই দিব্যা ভারতীর মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। সাংবাদিক রোশমিলা ভট্টাচার্য লেখেন, 'আমার মনে আছে ১৯৯৩-এর এপ্রিলের ওই দিনটা। আমি সবেমাত্র অফিসে পা রেখেছি,যখন খবর এল দিব্য ভারতীকে গুলি মারা হয়েছে। আমি প্রশ্ন করেছিলাম কে ছবি তুলেছে গৌতম রাজাধ্যক্ষ না রাকেশ শ্রেষ্ঠ? আমি সহকর্মী জানিয়েছিল কেউ ছবি নেয়নি। বলেছিল আন্ডারওয়ার্ল্ডের যোগসূত্র রয়েছে এই ঘটনায়। এরপর খোঁজ নিয়ে স্পষ্ট জানাই এটা গুজব, কিন্তু কয়েক মিনিটের মধ্যে খবর আসে দিব্যা ভারতী আর নেই'!
‘হাসপাতাল থেকে আমরা জানতে পারি দিব্যা ওর ব্যালকনি থেকে পা পিছলে পড়ে গিয়েছ, গুঞ্জন শোনা যায় আত্মহত্যা, এমনকি খুনেরও। তবে শেষমেষ পুলিশ ফাইলে তাঁর মৃত্যুর ঘটনাকে একটা সাধারণ দুর্ঘটনা বলেই উল্লেখ করে কেস ডায়রি বন্ধ করে দেওয়া হয়’।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, 'কুপার হাসপাতালে যখন দিব্যকে নিয়ে যাওয়া হয় তখনও তাঁর দেহে প্রাণ ছিল। হাসপাতালের গেটে চিকিত্সকের শার্টের হাতটা শক্ত করে ধরেছিল দিব্যা,চিকিত্সক তাঁকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করে। হাসপাতালের গেটেই ডাক্তার লুল্লার শার্টের হাতাটা আচমকাই ফসকে গেল দিব্যার হাত থেকে। ভিতরে নিয়ে যাওয়ার আগে সব শেষ'।
ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে দিব্যার বাবা ওম প্রকাশ ভারতী জানিয়েছিলেন, ‘আত্মহত্যা বা হত্যার কোনও প্রশ্নই নেই। হ্যাঁ,এটা ঠিক ও মত্ত অবস্থায় ছিল, কিন্তু কে জানে আধঘন্টায় মানুষ কতটা মদ খেতে পারে। আর অবসাদ? মানুষকে অবসাদে ফেলার মতো মেয়ে ছিল দিব্যা, নিজে অবসাদগ্রস্থ হওয়ার মেয়ে নয় দিব্যা!'
রূপোলি জগতে প্রবেশ:
দিব্যা ভারতীর সঙ্গে রূপোলি দুনিয়ার কোনও যোগাযোগ ছিল না। নিজের প্রচেষ্টাতেই হিরোইন হওয়ার স্বপ্নপূরণ করেছিলেন এই কিশোরী। বিমা কর্মী বাবার এই মেয়ে শুধু বলিউড নয় তেলুগু ইন্ডাস্ট্রিতেও লাইমলাইট কেড়ে নিয়েছিলেন নিজের সৌন্দর্য, অভিনয় দক্ষতা এবং ব্যক্তিত্বের জোরে।
১৯৯০ সালে ভেঙ্কটেশের বিপরীতে বোব্বিলি রাজু ছবিতে অভিনয় করেন ১৬ বছরের দিব্যা। এরপর চিরঞ্জীবী, মোহন বাবু এবং বালাকৃষ্ণর মতো দক্ষিণী সুপারস্টারদের সঙ্গে অভিনয় করেন ।য়ার মেয়ে নয়!'
বলিউডে স্বপ্নসফর:
১৯৯১ সালে হিন্দি ছবিতে অভিনয় জীবন শুরু দিব্যার। প্রথম ছবি ছিল বিশ্বত্মা। পরের বছরটা বলিউডে দিব্যা ভারতীর বছর ছিল। ওই একটা বছরে দিব্যার ১২টি ছবি মুক্তি পায়! অষ্টাদশী এই নায়িকা নিজেদের আবদেনময়ী ভঙ্গিতে হিল্লোল তুলেছিলেন সেলুলয়েডে। প্রযোজকদের মধ্যে রীতিমতো রেষারেষি পড়ে গিয়েছিল দিব্যাকে পরের ছবিতে কাস্ট করা নিয়ে।
দিব্যা অভিনীত বলিউড ছবিগুলির মধ্যে অন্যতম শোলা অউর শবনম, দিওয়ানা, দিল কা ক্যায়া কসুর। জীবদ্দশায় দিব্যার মুক্তি পাওয়া শেষ ছবি ক্ষত্রিয়। মৃত্যুর আগে রং ও শতরঞ্জ ছবির কাজ শেষ করেছিলেন দিব্যা। ছবি দুটি মুক্তি পায় দিব্যা ভারতীর মৃত্যুর পর।
লুকিয়ে বিয়ে:
১৯৯২ সালেই লুকিয়ে প্রযোজক সাজিদ নাদিয়াদওয়ালাকে বিয়ে করেছিলেন এই অষ্টাদশী নায়িকা। বিয়ের খবর প্রকাশ্যে এলে কেরিয়ারে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে তাই সেকথা গোপনই রেখেছিলেন দিব্যা-সাজিদ। এক বছরও টেকেনি সেই বিয়ে।মৃত্যুর পরে।
১০ মে দিব্যার প্রথম বিবাহবার্ষিকীর মাসখানেক আগেই চলে গেলেন দিব্যা ভারতী। শুধু রেখে গেলেন বহু প্রশ্ন, যার উত্তর আজও অধরা। বলিউড বিশেষজ্ঞদের মনে তিন বছরের ফিল্মি কেরিয়ারে দিব্যার যা উপলব্ধি, যা জনপ্রিয়তা অনেকে তিন দশক কাজ করেও তার সিকিভাগ অর্জন করতে পারে না।