আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অন্যতম মুখ ছিলেন ডাক্তার-অভিনেতা কিঞ্জল নন্দ। তবে সেই আন্দোলন চলার সময়, বারংবার কিঞ্জলের দিকে আঙুল তুলেছিলেন তৃণমূল ঘনিষ্ঠ নেতারা। বিশেষ করে আরজিকরের ঘটনাকে সামনে রেখে তিনি ‘জনপ্রিয়তা পাওয়ার চেষ্টা করছেন’, এমন দাবিও তোলা হয়। প্রশ্ন উঠতে থাকে, যেখানে পিজিটিদের কাজের চাপে নাভিশ্বাস ওঠার মতো অবস্থা হয়, সেখানে কীভাবে ডিউটি সামলে ছবি বা সিরিজ বা বিজ্ঞাপনের শ্যুটিং করছেন তিনি। আর এবার তো কিঞ্জলকে নিয়ে প্রশ্ন তুলল রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিল।
জানা গিয়েছে যে, আরজি করের অধ্যক্ষকে চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের থেকে। আর সেই চিঠির মাধ্যমে জানতে চাওয়া হয়েছে, ‘কতদিন ছুটি নিয়েছেন কিঞ্জল? নিয়ম মেনে নিয়েছিলেন?’ শুধু তাই নয়, আর জি কর মেডিক্যালে PGT হিসেবে কত স্টাইপেন্ড পান, বিজ্ঞাপন ও সিনেমায় অভিনয় করতে যাওয়ার আগে অনুমতি নেন কি না, তা নিয়েও প্রশ্নতোলা হয়েছে।
সেই চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়, ‘বিভাগ, কলেজ, স্বাস্থ্য দফতর থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছিল ? PGT হিসেবে ৮০ শতাংশ উপস্থিতি আছে তাঁর ?’
কদিন আগেই একটি বিজ্ঞাপনের মুখ হিসেবে সামনে আসেন কিঞ্জল নন্দ। শুধু তাই নয়, আরজি কর আন্দোলনের মাঝেই নিজের পরবর্তী সিনেমা ‘ডু নট ডিস্টার্ব’র ঘোষণা করেন। আর তারপর থেকেই শুরু হয় বিতর্কের কালো মেঘ। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর সবকটি পোস্টে এসে ‘কুৎসা-মূলক’ মন্তব্য পড়তে থাকে। এমনকী, এই বিতর্ক জড়িয়ে পড়েন বাংলার এক নামী মহিলা সাংবাদিক, তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষরাও। তারপর দেখা যায়, নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট কমেন্ট সেকশন বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তান থেকে খুনের হুমকি! এরই মাঝে ‘কিস কিসকো পেয়ার করুঁ ২’র শ্যুট শুরু কপিলের
এমনকী আরজি কর আন্দোলন চলার সময়, পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায় দাবি করে বসেন, জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদী মুখ প্রাইভেট কলেজে কোটি টাকা দিয়ে ডাক্তারি পড়েছেন। কারুর নাম না নিলেও নিন্দকদের ধারণা কিঞ্জল নন্দকে বিদ্রুপ করেই ছিল অনিকেতের ওই স্টেটাস। আর তারপর অনিকেতের পরোক্ষ কটাক্ষের জবাবে কিঞ্জল প্রকাশ্যে এনেছিলেন তাঁর জয়েন্টের ব়্যাঙ্কিং।