সোজা কথা সোজাভাবে বলতে কোনওদিনই ভয় পান না জিতু কমল। বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিজের বক্তব্য বহুবার ফেসবুকের পাতায় তুলে ধরতে দেখা গিয়েছে অভিনেতা জিতু কমলকে। এমনকি আরজি কর আবহেও বারবার ফেসবুকের পাতায় নিজের মতামত তুলে ধরেছেন জিতু। আর ১৬ সেপ্টেম্বর, সোমবার কালীঘাটে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পরই প্রাক্তন বামফ্রন্ট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুলনা টেনে পোস্ট করলেন জিতু।
ঠিক কী লেখেন জিতু কমল?
জিতু লেখেন, ‘আমার মনে হয় জ্যোতি বসুর পর যদি পরিপক্ক রাজনীতিবিদ কেউ হয়ে থাকেন, সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমাকে গালি দিন, বিদ্রুপ করুন। কিন্তু সত্যিটাকে সত্যি বলে মানতেই হবে।’ নিজের এই পোস্টের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জ্যোতি বসুর একটা বহু পুরনো ছবি পোস্ট করেছেন জিতু। যেখানে জ্যোতি বসুকে মমতার সামনে হাতজোর করতে দেখা গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও পাল্টা ‘আদাব’ জানাতে দেখা যাচ্ছে। যদিও জিতুর এই পোস্টের সঙ্গে সহমত হতে পারেননি বহু নেটিজেন।
যদিও জিতুর এই পোস্টের সঙ্গে সহমত হতে পারেননি বহু নেটিজেন। একজন লিখেছেন, ‘একজন সৎ, আরেকজন অসৎ’। কেউ বলেছেন, ‘ভাগ্যিস বুদ্ধবাবু বেঁচে নেই, নয়ত ওনার নাম করে ন্যাকামো মেরে এসব পোস্ট দেখেই উনি মারা যেতেন।’ কেউ আবার জিতুকে আক্রমণ করে লিখেছেন, 'কুণাল ঘোষের মতোই পরিপক্ক আপনি।' একজন সাফ জানিয়েছেন, ‘মানতে পারলাম না, কোনওদিক থেকেই জ্যোতি বসুর ধারে কাছে কোনওদিন ছিল না। আজও নেই, আগামী ১০০ বছরেও হতে পারবে না।’ কেউ আবার লিখেছেন, ‘জ্যোতিবাবুর সুযোগ্য ছাত্রী’। কেউ বলেছেন, ‘আপনি ঘুমিয়ে পড়ুন, একটা অ্যামাউন্ট ক্রেডিট করে দেবে, এর থেকে বেশিকিছু বলবেন না প্লিজ।’ এমনই অসংখ্য মন্তব্য উঠে এসেছে।
সোমবার বহু রাত পর্যন্ত জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের দিকে চোখ ছিল গোটা রাজ্যবাসীর। অনেকেই বহু রাত পর্যন্ত জেগে বৈঠকের ফল কী হয় তা জানার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সেসময় আবার অনেকেই নিজেদের মতামত জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করছিলেন। শেষপর্যন্ত বৈঠকের ফলাফল জানা গেল। বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল অপসারিত, ডিসি নর্থ অপসারিত, স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা অপসারিত এবং স্বাস্থ্য অধিকর্তাও অপসারিত।
তবে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে জানানো হয়, তাঁদের বেশকিছু দাবি মুখ্যমন্ত্রী মেনে নিয়েছেন ঠিকই তবে বেশকিছু দাবি এখনও মানা হয়নি। এমনকি যে দাবিগুলি মানা হয়েছে, সেগুলোও যতক্ষণ না ফলপ্রসূ হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবে। এমনকি ডেপুটি কমিশনার (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনও শৃঙ্খলামূলক পদক্ষেপ না করা হওয়ায় এবং পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে না সরিয়ে দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কারণ, কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (সেন্ট্রাল) ইন্দিরার বিরুদ্ধে তো একাধিক মিথ্যে বলার অভিযোগ তুলেছেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নিহত তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা।