২০১৮ সালে এক নামী ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জনি ডেপকে ‘বউ পেটানো’র দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। ‘পাইরেটস অফ দি ক্যারিবিয়ান’ খ্যাত এই অভিনেতা এরপর সান নিউজগ্রুপ,নিউজ পেপারের প্রকাশকের বিরুদ্ধে লন্ডনের উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করেন। সোমবার সেই মামলারই চূড়ান্ত শুনানি ছিল। উচ্চ আদালতের বিচার অনুযায়ী ট্যাবলয়েডের অভিযোগগুলি একদম সত্যি। রায় জনি ডেপের বিরুদ্ধে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডে‘সান’এর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ‘পাইরেটস অফ দি ক্যারিবিয়ান’ মতো ছবির সুবাদে গোটা বিশ্বে খ্যাতি অর্জন করা জনি ডেপের বিরুদ্ধে বউ পেটানোর মতো অভিযোগ আনা হয়েছিল। নিউজগ্রুপ, নিউজ পেপারের প্রকাশক এবং এক সাংবাদিক ড্যান ওয়াটনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন জনি। মামলায় তিনি পাল্টা অভিযোগ করেছিলেন তাঁর ৩৪ বছর বয়সী প্রাক্তন স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ড বরং মারধর করতেন জনিকে।
সংবাদপত্র প্রশ্ন তুলেছিল ‘ফ্যান্টাস্টিক বিস্টস’ এবং ‘হোয়্যার টু ফাইন্ড দেম’ ছবির কাস্টিং নিয়েও।
লন্ডনের ওল্ড বেইলিতে জুলাইয়ে তিন সপ্তাহ বিচার চলাকালীন বিচারক অ্যন্ড্রিউ নিকোল স্বামী-স্ত্রীর দুতরফা বক্তব্য শোনেন। তাঁদের বৈবাহিক জীবন, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক, মাদকাসক্তি, ড্রাগসের বিরুদ্ধে লড়াই সমস্ত কিছু শোনে আদালত। সেসময় দুজনেই একে অপরের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক আচরনের অভিযোগ এনেছিলেন।
বিচারক নিকোল জানান, রায়ের পরবর্তীতে ভবিষ্যতে জনির কেরিয়ার এবং ভাবমূর্তিতে এর প্রভাব পড়তে পারে। এটি ভেবেই রায়ের দাবি খারিজ করা হয়েছে। ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডের পক্ষের উকিল জনির বিপক্ষে নানা প্রমান পেশ করেন। যেখানে বলা হয় ২০১৩ সাল থেকে পরের তিন বছরে অন্তত ১৪ বার জনি ডেপ তার স্ত্রীকে হিংস্রভাবে আক্রমণ করেন।
তবে ৫৭ বছর বয়সি এই অভিনেতা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এগুলো সবই সাজানো ঘটনা। তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী মিথ্যা বলছেন। চালাকি করে মিথ্যা ঘটনা বানিয়েছেন তাঁরা’।
জনির প্রক্তন স্ত্রী বিচ্ছেদের আগে অভিযোগ করেছিলেন, জনি ডেপ মাথা গরম করে হিংসাত্মক আচরণ করতেন। লাথি মারতেন অ্যাম্বেরকে মদের বোতল ছুঁড়েও মেরেছিলেন।
‘সান’ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গার্হস্থ্য হিংসা কখনই চাপা রাখা উচিত নয়। বিচরককে পত্রিকার তরফে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে সঠিক বিবেচনা করার জন্য। অ্যাম্বার হার্ডকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁর সাহসিকতার জন্য।