আরজি কর কাণ্ডে গোটা বাংলা যখন উত্তাল, ঠিক তখনই টলিপাড়ায় একেরপর এক যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে। তেমনই এক অভিযোগে নাম জড়িয়েছে অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন জয়জিৎ। এমনকী জয়জিৎ জানিয়েছিলেন, তাঁর স্ত্রী শ্রেয়া তাঁকে বিশ্বাস করেন বলেই এমন অভিযোগে পাত্তা দেননি বলে।
এদিকে এসব চর্চার মাঝেই শোনা যাাচ্ছে, শ্রেয়া-জয়জিৎ-এর ডিভোর্সের খবর। খবরটা কি সত্যি? এবিষয়ে মুখ খুলেছেন জয়জিৎ নিজেই। টিভি৯ বাংলার কাছে এবিষয়ে জয়জিৎ বলেন, ‘কী বলছেন? কোথা থেকে শুনলেন? আমরা তো এসব ভাবতেই পারি না। আমার ব্যক্তিজীবনে যাই ঘটুক, তাতে রাগ-অভিমান হতেই পারে, তার জন্য পথচলা আলাদা হবে? কত কী দেখেছি এই বয়সে, ভাললাগে, হাসিও পায়। আবার খারাপ লাগে এই ভেবে কেন এসব কথা রটবে বলুন?’
জয়জিৎ আরও বলেন, ২০ বছরের দাম্পত্যে রাগ-অভিমান, ঝগড়া সবই থাকতে পারে। এরই নাম সংসার। তাঁর প্রশ্ন, স্ত্রী দু'দিন রাগ করে মাসিরবাড়ি গিয়ে ওঠে,তাহলে কি তাকে বিবাহ-বিচ্ছেদ বলে? অভিনেতার আরও প্রশ্ন কোন সংসারে অভিমান থাকে না। এটা খুবই স্বাভাবিক বলেই মন্তব্য করেন জয়জিৎ।
জয়জিতের সাফ কথা, তাঁরাও আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের থেকে আলাদা নন। তাই তাঁকে নিয়ে খুব বেশি কথা এসব তনি পছন্দ করেন না। এমনকি তাঁর নামে মিথ্যে কথা রটলেও সেসব নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নন বলে জানিয়ে দেন জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক কিছুই লেখা যায়, আর এসবই যুগের সাইড এফেক্ট বলে মনে করেন জয়জিৎ।
জয়জিতের সাফ কথা, তাঁরা ভালো আছেন। অভিনেতার প্রশ্ন, ‘মানুষ ঘর ভাঙার খবর পেতে কেন এত ভালোবাসে? কেন অকারণে কাদা ছোটাতে ভালোবাসে, বুঝি না? আমার সংসারটা এখনও আছে। থাকবেও আশাকরি।’
প্রসঙ্গত, জয়জিৎ-শ্রেয়ার ২০ বছরের দম্পত্য জীবন। তাঁদের এক ছেলেও রয়েছে, নাম যশজিৎ। প্রসঙ্গত, জয়জিৎ-শ্রেয়ার ছেলে যশজিৎ ইতিমধ্যেই অভিনয় দুনিয়ায় পা রেখেছেন।