কঙ্গনা রানাওয়াতের টুইট মানেই নতুন কোনও বিতর্ক। মোদীর কট্টর ভক্ত হিসেবে পরিচিত নায়িকা প্রায়ই টুইটারকে হাতিয়ার করে নিশানা করেন একে-ওকে। বাদ যায় না বিনোদন জগত থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদরাও। তবে, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে হঠাৎই কঙ্গনা রানাওয়াতের টুইটার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ডেড করে দেওয়া হল। কেন? বাংলার ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক টুইট করেছিলেন তিনি। যা টুইটারের ‘Hateful Conduct’ নীতির বিরুদ্ধে, অর্থাৎ ঘৃণা ছড়ায় এমন বার্তা দিচ্ছিলেন কঙ্গনা।
কী টুইট করেছিলেন কঙ্গনা? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্তর টুইটে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কঙ্গনা তাঁর টুইটে লিখেছিলেন, ‘এটা ভয়ঙ্কর... গুন্ডাইকে মেরে ফেলার জন্য আমাদের সুপার গুন্ডাইয়ের প্রয়োজন... তিনি অব্যক্ত দানবের মতো, তাঁকে দমন করার জন্য দয়া করে ২০০০ সালের প্রথম দিকের বিরাট রূপটা দেখান মোদীজি... #PresidentRuleInBengal’।’
২ মে বাংলায় ভোটের ফলাফল সামনে আসার পর কঙ্গনা টুইট করেছিলেন, ‘'বাংলাদেশি আর রোহিঙ্গারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবচেয়ে বড় শক্তি… যা ট্রেন্ড দেখছি তাতে বাংলায় আর হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ নেই এবং তথ্য অনুযায়ী গোটা ভারতের অন্য এলাকার তুলনায় বাংলার মুসলিমরা সবচেয়ে গরীব আর বঞ্চিত। ভালো আরেকটা কাশ্মীর তৈরি হচ্ছে।’
জানা গিয়েছে পকাপাকিভাবেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে কঙ্গনার এই অ্যাকাউন্টটি। টুইটারের এক স্পোক পার্সন জানিয়েছেন, ‘আমরা বারবার জানিয়েছি কোনও অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অনলাইনে অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি করা হলে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নেব। এই অ্যাকাউন্টটি একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আমাদের হেটফুল কনডাক্ট (ঘৃণা ছড়ানো) পলিসি ও অ্যাবিউসিভ বিহেবিয়ার (খারাপ ব্যবহার) পলিসি না মানার জন্য। আমরা নিশ্চিত করতে চাই টুইটারের সব ব্য়বহারকারীদের জন্যই এক নিয়ম মেনে চলি আমরা।’
কঙ্গনার টুইটে ক্ষেপে গিয়ে এর আগেও সরব হয়েছেন নেটিজেনরা। যেভাবে তিনি সবাইকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন, তা ঠিক নয় বলেই মত সকলের। তাই কঙ্গনার টুইটার অ্যাকাউন্ট স্থগিত হওয়ার খবরে খুশি অনেকেই। নেট মাধ্যমে এক টুইটার ব্যবহারকারীর মন্তব্য, ‘অনেক আগেই এটা করা উচিত ছিল! কিন্তু ভদ্রমহিলা আবার কী করলেন সেটাই জানতে চাই!’ অবশ্য কঙ্গনার ভক্তরা এখনও তাঁর হয়ে লড়ে চলেছেন। তাঁদের মতে এর পিছনেও হাত রয়েছে রাজনৈতিক আর বলিউড মাফিয়াদের।