বসন্তের আমেজ গায়ে মাখছে শহরের সব অলি-গলি, শুরু হয়েছে ভালোবাসার মরসুম। ক্যালেন্ডারের পাতা জানান দিচ্ছে এটা প্রেমের সপ্তাহ। কিন্তু বিশেষ এই সপ্তাহ প্রেমিক দেবমাল্যর সঙ্গে কেমন করে কাটাবেন বলে ভাবছেন অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার? এক সাক্ষাৎকারে নায়িকা বললেন, ‘আমাদের কাছে প্রতি দিনই ভ্যালেন্টাইন’স ডে।’
‘এই সময় অনলাইন’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মধুমিতা বলেন, ‘আমাদের যখনই দেখা হয়, দেবমাল্য আমায় এত সারপ্রাইজ দেয়, তাই আলাদা করে আর ভ্যালেন্টাইন’স ডে পালন করার দরকার পড়ে না। আমাদের কাছে প্রতি দিনই ভ্যালেন্টাইন’স ডে। তবে ১৪ তারিখ হয়তো ডিনারে যেতে পারি। আর তেমন কোনও প্ল্যান নেই।’
আরও পড়ুন: রাজেশ খান্নার নাতনি নওমিকার বলিউড অভিষেক! বিপরীতে থাকবেন বিগ বির নাতি অগস্ত্য?
২০২৪-এ মধুমিতা-দেবমাল্যের মন দেওয়া-নেওয়া হয়েছিল। তবে তাঁকে বহু আগে থেকেই চিনতেন নায়িকা। দেবমাল্য মধুমিতার ছোটবেলার বন্ধু। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। তবে ছেলেবেলার সেই বন্ধুই যখন মনে মানুষ হয়ে ওঠে, তখন আমূল পরিবর্তন আসে নায়িকার জীবনে ও মনে। এখন মধুমিতার সারাটা দিন শুধুই দেবমাল্যময়। সে কথা অকপটে স্বীকার করে নায়িকা বলেন, ‘আমি তো ভেবেছিলাম জীবনে বোহেমিয়ান হয়ে যাব। দেবমাল্য এসে আমার জীবন বদলে দিয়েছে। তাই ওঁকে ছাড়া আমি কিছু ভাবতে চাই না।’
চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন দু’জনে। তাই প্রেমিক-প্রেমিকা হিসেবে এটাই তাঁদের শেষ ভ্যালেন্টাইনস ডে হতে চলেছে। কারণ এর পরের বছর থেকে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী হয়ে যাবেন। এই প্রসঙ্গে মধুমিতার মত, ‘আমরা ভীষণ ভাবে স্বামী-স্ত্রী হতে চাইছি। তবে আমরা কথা বলে নিয়েছি যে, বিয়ের পরেও এমনই বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ডের মতোই থাকব। ছেলেমেয়ে হয়ে গেলে তখন স্বামী-স্ত্রীর মতো আচরণ করার কথা ভাবব।’
আরও পড়ুন: শ্রেয়া ঘোষাল থেকে সোনু নিগম, কৈলাশ খেরদের ভক্তিগীতির অনুপ্রেরণা কী? দেখে নিন
প্রসঙ্গত, উইকিপিডিয়া মতে মধুমিতার জন্ম হয় ১৯৯৪ সালে। ২০১৫ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি তাঁর সহকর্মী সৌরভ চক্রবর্তীকে বিয়ে করেন। মধুমিতা তাঁর প্রথম মেগা 'সবিনয় নিবেদন' চলাকালীনই সৌরভের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন, সেটে তাঁদের আলাপ হয়। তবে বছর কয়েকের মধ্যেই বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তাঁরা। তাঁদের ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর টানা বেশ কয়েক বছর সিঙ্গল ছিলেন অভিনেত্রী। তারপর ২০২৪ সালে পুজোর আগে নিজেই প্রেমিক দেবমাল্যর সঙ্গে সম্পর্কে সিলমোহর দেন। কিছুদিন আগে পাহাড় থেকেও ঘুরে এসেছেন তাঁরা।