রবিবার ৬ ফেব্রুয়ারি না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন লতা মঙ্গেশকর। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ভারতরত্ন লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন গোটা দেশ। শোকে কাতর তাঁর পরিবার, প্রিয়জনরা। সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছেন সুর-সম্রাজ্ঞীর ছোট বোন তথা কিংবদন্তি গায়িকা আশা ভোঁসলে। জানালেন, বর্ষীয়ান বলি-অভিনেত্রী পদ্মিনী কোলাপুরে। সম্পর্কে তিনি লতা-আশার ভাইঝিও বটে!
পদ্মিনীর ঠাকুমা ছিলেন লতা-আশার বাবা দীননাথ মঙ্গেশকরের ছোট বোন। সম্প্রতি, পিঙ্কভিলা-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে 'প্রেম রোগ'-এর নায়িকা বলেন, ' মৃত্যু যে চিরসত্য সেকথা জানা সত্বেও আমরা চাইতাম লতাজি আমাদের সঙ্গেই যেন সবসময় থাকেন। দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতাম ওঁর কিছু হবে না। এটুকুই বলব, এইমুহূর্তে আমরা কেউই ভালো নেই।' আর আশা ভোঁসলে তিনি কেমন আছেন? সেই প্রশ্নেরও জবাব দিয়েছেন পদ্মিনী। তাঁর কথায়, 'একদম ভালো নেই। একেবারে ভেঙে পড়েছেন।'
আশা ভোঁসলে-এর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন অনুপম খের। সেখানেই 'কিছু হাসি, কিছু কান্না' ভাগ করে নিলেন তিনি। গত শনিবারই লতাকে শেষবার দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তাঁর ছোট বোন। আশার সঙ্গে মোলাকাতের একটি ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন অনুপম। সাদা-কালো সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে আশার হাত নিজের মুঠোর মধ্যে ধরে রেখেছেন অনুপম। অভিনেতার দিকে মুখে স্মিত হাসি ফুটিয়ে তাকিয়ে থাকলেও আশার দু'চোখে উপচে পড়া কষ্ট বুঝতে পরিশ্রম করতে হয়নি নেটপাড়ার বাসিন্দাদের। অসুবিধে হয়নি বুঝতে অনুপমেরও। তাই তো সেকথা ছবির ক্যাপশনে উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, 'কখনও কখনও হাসি দিয়েই গভীরতম দুঃখকে চাপা দেওয়া যায়। দিদি লতাকে হারিয়ে বোন আশার মনের অবস্থা উপলদ্ধি করতে পেরেছি স্পষ্টভাবে। কিছু হাসি, কিছু দুঃখ ভাগ করে নিলাম দু'জনে।'
কিংবদন্তি গায়িকাকে শেষ বিদায় জানাতে হাজির হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, শাহরুখ খান, আমির খান, রণবীর কাপুর, সচীন তেন্ডুলকর, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরে-সহ অন্যান্যরা।মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে লতা মঙ্গেশকরের শেষকৃত্যের আয়োজন করা হয়েছিল। ‘ভারতের নাইটিঙ্গল’কে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বিদায় জানানো হয়। সাথে রবিবারই দু'দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছিলেন মোদী।