পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, তন্ময় ঘোষ, অনুপম রায়, পিয়া চক্রবর্তী, ঋদ্ধি সেন, সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঋতব্রত মুখার্জীরা তৈরি করে ফেলেছেন ‘Citizen’s Response’। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলে হাসপাতালে বেড খুঁজে পেতে বেশ কিছুটা সময় চলে যায়। সেই সময়টায় রোগীর অবস্থা যাতে আরও খারাপ না হয়, তারই উদ্দেশে এটি তৈরি করা হয়েছে।
আনন্দবাজার ডিজিটালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পরমব্রত জানান, ‘ কাজে নামার পর থেকেই টানা যোগাযোগ রেখেছি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের সঙ্গে। তাঁরা যে ভাবে ২৪ ঘণ্টা জেগে রয়েছেন, তা অভাবনীয়। আসলে সবাই সবার মতো চেষ্ঠা করছেন। ব্যক্তি মানুষ, রাজ্য সরকার, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন…’
যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের কাজে একদম খুশি নন পরমব্রত। জানালেন, গোটা দেশে অক্সিজেনের অভাব। শুধু বাংলা নয়, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, গুজরাট যেদিকে তাকাও দেখবে হাহাকার লেগেছে অক্সিজেনের। পরমব্রত বলেন, ‘খারাপ সময়ের জন্য একটা দেশে যথেষ্ট অক্সিজেন মজুত করা নেই! ভাবা যায়? গাফিলতি যে জাতীয় স্তরে, তা আমরা সকলেই জানি। উত্তরপ্রদেশে রাস্তায় শবদেহ পোড়ানো হচ্ছে। সেটা যাতে আমাদের এখানে না হয়, বা কম হয়, সেটার জন্যই প্রত্যেকে খাটছি।’
যারা করোনার মতো রোগকে সামান্য সর্দি-কাসি বলে উল্লেখ করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও সুর চড়ালেন পরম। জানালেন, আমি কাছের মানুষকে হারিয়েছি। আমার মতো আরও অনেকে কাছের মানুষকে হারিয়েছে। কেউ কেউ একটা বেডের জন্য লড়াই করছে। তাঁরা জানে এই রোগ কতটা মারাত্মক!