বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > বাস্তবে কখনো লিঙ্গবৈষম্যের শিকার হয়েছেন পরিণীতি? মুখ খুললেন নায়িকা

বাস্তবে কখনো লিঙ্গবৈষম্যের শিকার হয়েছেন পরিণীতি? মুখ খুললেন নায়িকা

পরিণীতি চোপড়া

এবার লিঙ্গবৈষম্যে এবং পিতৃতন্ত্রের অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুললেন পরিণীতি চোপড়া।

দিবাকর বন্দ্যোপাধ্য়ায় পরিচালিত ‘সন্দীপ ঔর পিঙ্কি ফারার’ ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা গেছে পরিণীতি চোপড়াকে। ওটিটিতে ছবি মুক্তি পাওয়ার পরই পরিণীতির অভিনয় সম্পর্কে চর্চা শুরু হয়েছে। অনেকেই তাঁর কাজের প্রশংসা করেছেন। 

জীবনে কখনো লিঙ্গবৈষম্যের কখনো শিকার হয়েছেন পরিণীতি? সেই সম্পর্কে বলতে গিয়ে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তিনি এসবের দ্বারা কখনো প্রভাবিত হননি। তবে উদাহরণ স্বরূপ বলেছেন, কীভাবে একজন কন্ট্রাক্টর বাড়ির সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে পুরুষদের সিদ্ধান্তকে বেশি প্রাধান্য দেন।

ফিল্ম কম্প্যানিয়নকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ছবির গল্পটা আলাদা ভাবে লেখা হয়েছে। মানুষ পিতৃতন্ত্র নিয়ে এতটাই স্বাচ্ছন্দ্য যে তাঁরা এখন সেটা নিয়ে ভাবেন না। তবে দেশের অনেক মহিলাই সেইটার মুখোমুখি হন প্রতিদিন। ‘যখন আমি আমার বাড়ি সাজানোর ব্যাপারে কথা বলতে গেছিলাম, কন্ট্রাক্টর আমার সঙ্গে ঠিক করে কথাই বলছিল না কারণ আমি মেয়ে বলে। ঘরে অন্য কেউ আছে নাকি কথা বলার জন্য অন্যকে খুঁজছিল। আমি বাড়িটা কিনেছি। আমি টাকা দিয়েছি। এটা আমার তাই নামটাও আমারই হওয়া প্রয়োজন। আমি যখন তাঁকে আমার সঙ্গে কথা বলতে বলি, সে মানা করে দেয়। আমার ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে এই ছবির অনেক মিল আছে’।

ছবিতে পরিণীতির প্রিয় দৃশ্য কি? সেই সম্পর্কে বলতে গিয়ে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ছবিতে স্যান্ডির চরিত্রে অর্জুন কাপুরের সঙ্গে পিঙ্কি ব্রেকফাস্ট সারছে নীনা গুপ্তাও রয়েছে এবং রঘুরীরের চরিত্র তাঁর ভাল লেগেছে। দৃশ্যে, রঘুবীরকে স্যান্ডিকে বলতে দেখা গেছে, নিজের প্লেটে খাবার নেওয়ার আগে সকলের প্লেটে খাবার দেওয়ার কথা।

অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ছবিতে তাঁর প্রিয় দৃশ্য ‘পরটা আচার’এর দৃশ্য। যেখানে সব ছেলেরা বসে রয়েছে এবং মেয়েরা এমনকি নীনা গুপ্তার চরিত্রও দাঁড়িয়ে আছে। তিনিও পিতৃতন্ত্রের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছিলেন। দৃশ্যে তিনি অর্জুনকে আচার পাস করতে বলেননি তবে পরিণীতি কেন বসে রয়েছে সেই নিয়ে প্রশ্ন করেন। ‘এই দৃশ্যের শ্যুটিংয়ের সময় আমার মনে হচ্ছিল, সেই ছোট শহর যেখানে আমি বড় হয়েছি, সেখানে ছেলেরা ঘুমোতে না যাওয়া পর্যন্ত মেয়েদের খাবার খাওয়ার নিয়ম ছিল না। এমনকি ছেলেরা ডাইনিং টেবিলে বসে থাকলে মেয়েরা খেতেও পারতেন না। এমনকি আমার বাড়িতে আমার মায়ের কাছেও সেই অধিকার ছিলনা। এমন নয় আমার বাবা এটা মাকে বলেছিল। তবে বাড়িতে পরিবারে একটা অকথিত নিয়ম ছিল’। 

অভিনেত্রী আরো বলেন, ‘ছবিতে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হল আমার চরিত্রের সঙ্গে স্যান্ডির চরিত্রের বিয়ে- রিয়াল এবং রিল লাইফের মিশ্রণ। সেই আমিই বলছিলাম পিতৃতন্ত্রকে শেষ করার কথা। আমরা দেখানোর চেষ্টা করছিলাম ভারতে পুরুষতন্ত্র কতটা স্বীকৃত এবং আমরা তার কতটা পরিবর্তন করতে চাই’।

পরিণীতিকে সাইনা নেওয়ালের বায়োপিক এবং নেটফ্লিক্সের দ্য গার্ল অন দ্য ট্রেনে দেখা গেছে।

 

বন্ধ করুন