অনলাইনেই যত বিপত্তি। সাইবার প্রতারণার ঘটনা নতুন নয়। এবার এই ফাঁদেই পড়লেন অভিনেত্রী, রাজনীতিবিদ নাগমা মোরারজি। ফোনে আসা ম্যাসেজের লিঙ্কে ক্লিক করে প্রায় ১ লক্ষ টাকা খোয়ালেন নাগমা।
ঠিক কী ঘটেছে?
নাগমা মোরারজি জানিয়েছেন, তাঁর ফোনে KYC সংক্রান্ত মেসেজ এসেছিল। তাতে কিছু লিঙ্ক দেওয়া ছিল, সেটিই আদপে একটি ফাঁদ। সেই লিঙ্কে ক্লিক করাতেই ঘটে বিপত্তি। অভিনেত্রী জানান, এক ব্যক্তি তাঁকে ফোন করে বলেন, KYC সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি তাঁকে সাহায্য করবেন। এরপরই তাঁর কাছে এসেছিল একটি লিঙ্ক। যদিও অভিনেত্রীর দাবি, লিঙ্কে ক্লিক করলেও তিনি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত কোনও নথি ওই লিঙ্কে শেয়ার করেননি। তাঁর কথায়, ‘প্রতারক আমার ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিংয়ে লগ ইন করে একটি সুবিধাভোগী অ্যাকাউন্ট তৈরি করেন। সেখান থেকেই আমার প্রায় ১ লক্ষ টাকা স্থানান্তরিত হয়ে যায়। আমার কাছে একাধিক ওটিপি এসেছিল, তাতে বুঝেছি ওরা প্রায় ২০বার চেষ্টা করেছে। যদিও ওরা অনেকবেশি টাকা আত্মসাৎ করতে পারেনি’।
ইতিমধ্যেই নাগমা মোরারজির অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মুম্বই পুলিসের সাইবার শাখার তরফে ইতিমধ্যেই এধরনের জালিয়াতি নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। গত কয়েকদিন প্রায় ৮০ জন এই ফাঁদে পড়েছেন বলে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে অভিনেত্রী, রাজনীতিবিদ নাগমা অন্যতম। কিছুদিন আগে অভিনেত্রী শ্বেতা মেননের সঙ্গেও এধরনের ঘটনা ঘটেছিল।
এবিষয়ে মুম্বাই পুলিশের ডিসিপি সাইবার ক্রাইম, বলসিংহ রাজপুত বলেন, অনলাইন জালিয়াতির সবচেয়ে সাধারণ ধরনগুলি ব্যাঙ্ক, অনলাইন কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলির সঙ্গে সম্পর্কিত। যেখানে প্রতারকরা, ব্যাঙ্ক/প্ল্যাটফর্মের আধিকারিক হিসাবে পরিচয় দিয়ে কোনও ব্যক্তিকে ওটিপি, কেওয়াইসি আপডেট শেয়ার করতে রাজি করান এবং কখনও কখনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট অ্যাক্সেস করার জন্য লিঙ্কও পাঠানো হয়স সেখানে ক্লিক করলেই সব শেষ। তবে মানুষজনের জানা উচিত,ব্যাঙ্ক বা প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত কোনও নথি কেউ দাবি করতে পারেন না। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, শিক্ষিত লোকেরা অনলাইন প্রতারণার শিকার হচ্ছেন এবং লক্ষ লক্ষ টাকা হারাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত ১৯৯০ সালে সলমন খানের বিপরীতে ‘বাগী’ ছবির হাত ধরে বলিউডে পা রাখেন নাগমা। পরবর্তী সময়ে ‘কিং আঙ্কেল’, 'সুহাগ', ‘ইয়ালগার’, ‘লাল বাদশা’, ‘চল মেরে ভাই’, ‘কুনওয়ারা’, ‘আব তুমহারে হাওয়ালে ওয়াতান সাথিয়া’র মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন নাগমা। ২০০৪ সালে কংগ্রেসে যোগ দেন মিরাট আসন থেকে প্রতিদ্বন্দিতাও করেন। ২০১৫ সালে সর্বভারতীয় মহিলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হন নাগমা।