অভিনেতা আর মাধবনের ছেলে বেদান্ত নিয়ে গত কয়েক মাসে চর্চার শেষ নেই সংবাদমাধ্যমে। আর চর্চা হবে নাই বা কেন! ক্রীড়াক্ষেত্রে দেশকে গর্বিত করছেন এই তারকা পুত্র। একাধিক আন্তর্জাতিক সাঁতার প্রতিযোগিতায় দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন বেদান্ত। বাবা হিসাবে ছেলের সাফল্যে গর্বিত ‘রকেট্রি দ্য নাম্বি এফেক্ট’ অভিনেতা। তবে চিন্তাও বাড়ছে না। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি মাতামাতি হচ্ছে ছেলেকে নিয়ে, এমনই আক্ষেপ তাঁর।
হিন্দুস্তান টাইমসকে অভিনেতা বললেন, ‘আমি বেদান্তের সাফল্যে সত্যি খুব খুশি। কিন্তু ও যতটা অ্যাটেনশনের যোগ্য, তার চেয়ে বেশি পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক স্তরে ও মাত্র কয়েকটাই প্রতিযোগিতা জিতেছে। ভারতে ওর বয়সী অনেক সাঁতারু রয়েছে, যাঁরা ওর চেয়ে ভালো। তাঁদের সাফল্যগুলোও একইরকমভাবে উদযাপন করা প্রয়োজন’।
জাতীয় স্তরের সাঁতারু বেদান্তের বয়স এখন সবে ১৬! ৪৮তম ন্যাশন্যাল জুনিয়র চ্যাম্পিয়ানশিপে জাতীয় রেকর্ড ভেঙে সোনা জিতেছিল বেদান্ত। এরপর আন্তর্জাতিক স্তরে দানিশ ওপেনে রুপোর মেডেল জিতেছে সে। মাধবন সাফ জানালেন, বেদান্ত ভালোভাবেই জানে তাঁর বাবা অভিনেতা হওয়ার জেরে মিডিয়ায় তাঁকে ঘিরে বেশি চর্চা। তবে নিজের ফোকাস থেকে সরে যাবে না বেদান্ত, আত্মবিশ্বাসী বাবা, মাধবন। তিনি বলেলন, ‘মাথা নীচু করে পরিশ্রম করে যাচ্ছে ছেলে। ট্রেনিং করছে, ফোকাস করছে নিজের লক্ষ্যে, অ্যাথলিট হিসাবে নিজের ডায়েটে নজর দিচ্ছে, আমরা নিজেদের সাধ্যমতো ছেলের পাশে আছি’।
ছেলে যাতে আন্তর্জাতিক স্তরের সুইম্যার হয়ে উঠতে পারে, তাই ভারত ছেড়ে এখন দুবাইতে ঘর বেঁধেছেন মাধবন। তাঁর সাফ কথা, ‘ওকে পরিশ্রম করতে হবে। ওর অনেকটা পথচলা বাকি’। সাফল্যের সঙ্গে অনেক দায়িত্ব জড়িয়ে থাকে, সেগুলো ছেলে যাতে সঠিকভাবে বুঝতে পারে সেই চেষ্টাই করছেন অভিনেতা। নিজে যে ভুল জীবনে করেছেন, সেটা যাতে বেদান্ত না করে সেই চেষ্টাই করবেন অভিনেতা, জানান তিনি।