এই মুহূর্তে ছোটপর্দার দর্শক তাঁকে চিনতে অনিকেত মল্লিক হিসাবে। তিনি অভিনেতা, এটাই তাঁর পরিচয়। তবে অভিনেতা হওয়া ছাড়াও তাঁর আরও যে প্রতিভা রয়েছে, সেটা এতদিন চাপা পড়েই ছিল। অভিনেতা রণজয় বিষ্ণুর কথাই বলছিলাম। মফঃস্বল শহর থেকে উঠে আসা এই অভিনেতা লেখালিখিও করেন। সেকথা কি কারোর জানা ছিল?
নিজের কিছু লেখা নিয়ে আরও এক অভিনেতা নীল চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন রণজয়। যেখানে রণজয় তাঁর নিজের লেখা পাঠ করছেন, আর গান ধরেছেন অভিনেতা নীল। তাঁদের যুগলবন্দিতেই তৈরি হয়েছে নতুন একটা প্রচেষ্টা। সেই ভিডিয়োটিই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন রণজয় বিষ্ণু।
যে ভিডিয়োতে রণজয়কে বলতে শোনা গেল, ‘বহুদিন ধরেই ভাবছি একটা সেশন করব। অনেকবার ঠিকও করেছি, তবে শেষপর্যন্ত করা হয়ে ওঠেনি। আমি আমার পার্টনার খুঁজছিলাম, ফাইনালি পেয়ে গেছি আমার বন্ধু নীলকে। সেশনটা এইরকম যে আমার লেখা কিছু, (মাঝে থেকে বলেন ভুলভাল লেখা) পাঠ করব, আর তার সঙ্গে নীল গান গাইবে। আপনাদের যেমনই লাগুক, ফিডব্যাক জানাবেন। আমরা এটা নিয়ে লাইভ শো করব, আজ তার ডেমো।'
আরো পড়ুন-বাবা-মায়ের সঙ্গে সমু্দ্রস্নান, ছোটবেলার ছবিতে দেখুন তো জনপ্রিয় এই টলি অভিনেতাকে চেনেন কি?
আরও পড়ুন-বাবা-মায়ের সঙ্গে সমু্দ্রস্নান, ছোটবেলার ছবিতে দেখুন তো জনপ্রিয় এই টলি অভিনেতাকে চেনেন কি?
এরপরই রণজয় পাঠ করতে শুরু করেন, দাঙ্গা লেগেছে ভিতরে, সবাই পালাতে চাইছে কিন্তু পারছেনা এদিকে দরজা কিন্তু খোলা…। এরপরই অভিনেতা নীল গান ধরলেন, যদি আকাশের গায়ে কান না পাতি, তোমার কথা শুনতে পাব না।’ কিছুটা গান হতেই ফের কথায় ফিরলেন রণজয়…। অর্থাৎ একটু কিছু গান কিছু কথা…।
এদিকে নিজের লেখালিখি, ভাবনা নিয়ে রণজয় আনন্দবাজারকে বলেন, বেশকিছুদিন আগে থেকে তাঁর এই ভাবনাটা এসেছিল। বলেন, ‘আমি যে খুব ভাবনাচিন্তা করে লিখি তা নয়, আমি লেখক নই। তবে কিছু ভাবনা মাথায় এলেই লিখে ফেলি। বহু মানুষ শুনে বলেছেন, আমায় লেখায় তাঁরা নিজেদের সঙ্গে মিল পেয়েছেন। তবে নিজের এই লেখাকে আমি ভুলভাল লেখা বলি। আমার একটা লাল খাতা আছে, তাতে যখন যেটা মনে হয় লিখি।’
রণজয় অবশ্য বলেন, তাঁর এই লেখায় আলাদা করে কেউ অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে এমনটা নয়, তিনি নিজের জীবনবোধ থেকেই লেখেন। রণজয় জানান, তাঁর হুমায়ুন আহমেদ, ভাস্কর চক্রবর্তী, শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অনেকের লেখাই পড়তে ভালো লাগে। তবে এটা তাঁর পেশা নয়, শুধু মনেক কিছু ভাবনার বহিঃপ্রকাশ বলেই জানান তিনি।