জানুয়ারি মাস থেকে কোনওরকম টাকা পয়সা পাচ্ছেন না অভিনেতা রণিত রায়। মার্চ থেকেই শ্যুটিং বন্ধ থাকায় গত আড়াই মাস ধরে বেকার ছোটপর্দার মিস্টার বাজাজ। তবুও করোনা সংকটে ১০০ জন পরিবারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন অভিনেতা রণিত রায়। তিনি জানান, তাঁদের মুখে অন্ন তুলে দিতে ঘরের জিনিসপত্র বিক্রি করছেন তিনি।
টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির বহু অভিনেতার টাকা আটকে রয়েছে এই মুহূর্তে। বারবার বহু সংগঠনের তরফে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ ও প্রযোজকদের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে অভিনেতা ও কলাকুশলীদের টাকা মিটিয়ে দিতে,তবুও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। সেই প্রসঙ্গে রণিত রায় জানান, ব্যক্তিগতভাবে,আমার জানুয়ারি মাস থেকে কোনও উপার্জন নেই। আমার একটা ছোট ব্যবসা রয়েছে,লকডাউনের জেরে মার্চ মাস থেকে সেটাও সম্পূর্ন বন্ধ।আমার যা কিছু ছিল তা শেষ,এখন আমার ঘরের জিনিসপত্র বিক্রি করে ১০০ পরিবারের দায়িত্ব পালন করছি’।
অভিনেতা যোগ করেন, আমি খুব ধনী মানুষ নই,কিন্তু আমি এই কাজটা করছি।তাই প্রযোজক সংস্থা,চ্যানেল কর্তৃপক্ষ যাঁদের প্রচুর অর্থ রয়েছে,যাঁদের অফিস বিল্ডিং গুলো দু কিলোমিটার দূর থেকে দেখা যায় তাঁদেরও কিছু করা দরকার। মানুষের খেয়াল রাখাটা তাঁদেরও দরকার। অভিনেতাদের কথা আর কারা ভাববে? এখন সকলেরই টাকার দরকার। আমরা তো না খেয়ে থাকব না’।
অবসাদগ্রস্ত হয়ে আত্মহননের মতো চরম সিদ্ধান্তের বিরোধী রণিত রায়। তিনি বলেন, আমি কাউকে বিচার করতে চাই না। তবে জীবনের কোনও না কোনও পর্বে সকলেই অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন হয়। আমার মনে হয় অর্থ সংকটে পড়ে নিজেকে শেষ করে দেওয়াটা কোনও সমাধান নয়। জীবন শেষ করে দেওয়াটা কোনও সমস্যারই সমাধান হতে পারে না’।
প্রসঙ্গত ৬ জুন থেকে জিফাইভ ও অল্টবালাজিতে স্ট্রিমিং শুরু হচ্ছে রণিত রায়ের নতুন ওয়েব সিরিজ 'কহেনে কো ওহ হামসফর হ্যায়'-র তিন নম্বর সিজন। রণিত রায় ছাড়াও এই সিরিজে থাকছেন গুরদীপ কোহলি, মোনা সিং, পূজা জা বন্দ্যোপাধ্যায়রা। বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের আবর্তে তৈরি হয়েছে একতা কাপুরের এই সিরিজ।