যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৭২ শতাংশ নম্বর পেয়ে স্নাতক ঋতব্রত, ‘অভিনয় নিয়েই থাকব’

স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন অভিনেতা ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়।

ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়।

স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন অভিনেতা ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলনামূলক সাহিত্য নিয়ে লেখাপড়া করে ৭২ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করেছেন এই জনপ্রিয় অভিনেতা। প্রথম থেকেই ঋতব্রতর অভিনয়ে মজেছে দর্শক ও সমালোচকের দল। তবে অভিনয়ের বাইরে পড়াশোনা নিয়েও সমান মনোযোগী তিনি। দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ৯০ শতাংশেরও বেশি নম্বর পেয়ে পাশ করেছেন তিনি। এবার ৭২ শতাংশ নম্বর পেয়ে টপকালেন গ্র্যাজুয়েশনেই চৌকাঠ।ফেসবুকে নিজের অনুরাগীদের সঙ্গে সেকথা ভাগ করে নিলেন তিনি।

বিদ্যা বালানের 'কাহানি' ছবিতে ঋতব্রতকে প্রথম বড়পর্দায় দেখেছিল দর্শক। এরপর 'ওপেন টি বায়োস্কোপ', 'জেনারেশন আমি', 'দ্বিতীয় পুরুষ, 'কিশোর কুমার জুনিয়র' এর মতো সব ছবিতে দর্শক ও ছবি সমালোচকদের নিজের পারফর্মেন্সের জেরে বারেবারে মুগ্ধ করেছেন তিনি। জানা গেছে,এই মুহূর্তে পুরোদমে ছবিতেই কাজ করবেন তিনি। এই প্রসঙ্গে  হিন্দুস্তান টাইমস-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন যে এখনই মাস্টার্স তিনি করবেন না। তবে ভবিষ্যতে অবশ্যি করবেন এবং তা বিদেশ থেকেই করবেন। এবারও প্রাগ ফিল্ম স্কুলে সুযোগ এসেছিল মাস্টার্স করার, কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করেননি। ফিরিয়ে দেওয়ার কারণ? অভিনেতার জবাব, 'এইমুহূর্তে পৃথিবীর পরিস্থিতি যেহেতু খুব একটা ভালো নয় তাই যেকোনও সময়ে বাড়ি ফিরিয়ে দিতে পারে। তারপর আমার পরিবারের বা নিজের এইমুহূর্তে অত টাকা নেই যে বাইরে গিয়ে ভালো করে পড়াশোনা করতে পারব ।তবে হ্যাঁ, ভবিষ্যতে আমি যাবই। অন্তত এক বছরের জন্য কোনও কোর্স করতে হলেও যাব!' 

কথায় কথায় সেই সাক্ষাৎকারে আরও জানালেন ছোট থেকেই বিভিন্ন বই পড়ার অভ্যাস রয়েছে তাঁর। বিভিন্ন টেক্সট পড়ার সুবাদে দৃষ্টিভঙ্গী তৈরি হয়েছিল তাঁর। তুলনামূলক সাহিত্য পড়ার ফলে আরও সুষ্ঠ হয়েছে সেই দৃষ্টিভঙ্গী। তা প্রথম থেকেই কি তুলনামূলক সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছে ছিল এই জনপ্রিয় অভিনেতার? ঋতব্রতর জবাব, 'হ্যাঁ। মূলত সিলেবাসের কারণেই তুলনামূলক সাহিত্য নিয়ে পড়ার ইচ্ছা ছিল। এমনিতেও খুব বেশি জায়গায় এই বিষয়টি পড়ানো হয় না। তাই আমার পরিচিতদের মধ্যে যাঁরা এই বিষয়টি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। যথাসম্ভব খোঁজখবর নিয়েছিলাম।আর এই বিষয়ে চর্চা করার ফলে জীবনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিও বদলেছে। নানারকম সৃজনশীল কাজেও দারুণ সাহায্য করেছে'।