বন্ধুত্বের দিনে ভালবাসার মানুষের আবদার ফেলতে পারলেন না অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী। মনে ভয় থাকলেও প্রেমিকা ঐন্দ্রিলা শর্মার বাইরে খেতে নিয়ে যাওয়ার আবদার ফেলতে পারেননি তিনি। কাছের একটা ক্যাফেতে নিয়ে গিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলাকে। আতঙ্ক, আবদার, আবেগ মেশানো দিনটির কথা সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন পর্দার ‘বামাক্ষ্যাপা’।
ঐন্দ্রিলাকে আলিঙ্গন করে মাথায় চুমু খেয়ে বিশেষ দিনে একটি ছবি শেয়ার করেন সব্যসাচী। লেখেন, ‘প্রায় ৬ মাস পর বাইরে খেতে যেতে চেয়েছিল। শরীর এখনো বড়ই দুর্বল, তাই ভয়ে ভয়ে কাছেই নিয়ে গেলাম একটি ক্যাফেতে। এক কালে সেখানে প্রায়ই যেতাম আমরা। তবু সাহস সঞ্চয় করার জন্য সঙ্গে নিয়ে গেলাম ভাই এবং বন্ধুকে। যতই হোক বন্ধুত্ব দিবস বলে কথা। ঘণ্টাখানেক ছিলাম সেখানে, তার মধ্যেই বার পঞ্চাশেক জিজ্ঞাসা করে ফেললাম শরীর খারাপ লাগছে কি না। বেরোনোর সময়ে গটগট করে হাঁটতে হাঁটতে, গম্ভীর হয়ে বললো, 'এতো আতুপুতু করো না তো। এমন হাবভাব করছ, যেন আমার ক্যানসার হয়েছে।’
টেলি তারকা জুটির ছবি দেখে আবেগে ভেসেছেন অনুরাগীরা। উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে ‘জিয়ন কাঠি’র নায়িকা ঐন্দ্রিলা শর্মার ফুসফুসে ধরা পড়ে ক্যানসারাস টিউমার। প্রাণোচ্ছ্বল মেয়েটি চিকিৎসা করাতে দিল্লি উড়ে গিয়েছিলেন। সেই সময় ছায়ার মতো তাঁর পাশে ছিলেন প্রেমিক সব্যসাচী। মে মাসে চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচার করে অভিনেত্রী দেহ থেকে সেটাকে বাদ দেয়। ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে অভিনেত্রী সর্বদা পাশে পেয়েছিলেন প্রেমিক সব্যসাচীকে।
দিন কয়েক আগেই ঐন্দ্রিলার স্বাস্থ্য সম্পর্কে সব্যসাচী জানিয়েছিলেন, ‘পেনকিলার ছাড়া এখনো মারাত্মক যন্ত্রনা হয়, ডাক্তার বলেছেন প্রায় এক বছর লাগবে ব্যাথা নির্মূল হতে। নিজে নিজে শুতে পারে তবে তুলে বসিয়ে দিতে হয়। ডাক্তারের নির্দেশ মেনে হাঁটাহাঁটি বা সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করে, ফুসফুসের ক্ষমতা বৃদ্ধি করার ব্যায়াম করে। এই মাসের শেষ থেকে বাকি রেডিয়েশন এবং কেমোথেরাপি চলবে।’ অভিনেতা সব সময় চেষ্টা করেন নিজের ‘লেডি লাভ’-এর মুখে হাসি ফোটানোর।