বৃহস্পতিবার ভোরে মুম্বইয়ের বান্দ্রায় সইফ আলি খান ও করিনা কাপুর খানের বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টা করা হয়েছিল। নিজের বাড়িতে ডাকাতি আটকাতে গিয়ে ডাকাতদের ছুরিকাঘাতে সইফের জখম হয়েছিলেন সইফ।
ভয়ঙ্কর ছুরিকাঘাতের কারণে তাঁকে তড়িঘড়ি লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন যে তাঁকে একটি অটোরিকশা করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁর অস্ত্রোপচারও হয়।
আরও পড়ুন: ইন্ড্রাস্টিতে মনে রাখার মতো চরিত্র পান না সোহম! 'ভীষণ হতাশ…' যা বললেন অভিনেতা
জানা গিয়েছে, যখন তাঁদের বাসভবনে ডাকাতির চেষ্টা হয়েছিল তখন বাড়িতে ছিলেন সইফ আলি খান নিজে, তাঁর স্ত্রী কারিনা কাপুর, তাঁদের দুই ছেলে চার বছরের জেহ ও আট বছরের তৈমুর। তাছাড়া ১২ তলা ওই অ্যাপার্টমেন্টে ছিলেন পাঁচ গৃহকর্মী। পুলিশের কাছে দেওয়া এক বিবৃতিতে জেহ'র আয়া এলিয়ামা ফিলিপ জানান তিনি প্রথম সশস্ত্র হামলাকারীর মুখে পড়েছিলেন, তিনি জানান আততায়ীরা এক কোটি টাকা চেয়েছিলেন।
পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অনুপ্রবেশকারী জোর করে অভিনেতার ফ্ল্যাটে ঢোকেনি বা ভাঙচুর করেনি, সম্ভবত ডাকাতির উদ্দেশ্যে রাতের কোনও এক সময়ে লুকিয়ে ঢুকেছিল। সবাই জেগে যাওয়ার পর তাঁরা সিঁড়ি দিয়ে পালিয়ে যায়। এখনও তাঁদের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, লাল স্কার্ফ পরা, ব্যাকপ্যাক নেওয়া সন্দেহভাজন সৎগুরু শরণ ভবনের ছয় তলা থেকে সিঁড়ি দিয়ে দৌড়ে নীচে নেমে আসছে।
তবে এত কিছুর পরও বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। যেখানে সইফ-করিনা ছিলেন সেটি মুম্বইয়ের অন্যতম সুরক্ষিত আবাসিক এলাকা, সেখানে নিরাপত্তা ভেঙে এই কাণ্ড, তাই স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বেগ তৈরি হয়েছে অনেকের মনে। তাঁদের মনে জেগেছে নানা প্রশ্ন।
১. হামলাকারী কীভাবে বাচ্চাদের ঘরে পৌঁছেছিল?
হামলাকারী ফায়ার এস্কেপ ব্যবহার করে বলে জানা গেলেও তারা কীভাবে আবাসনটি না চিনে, কীভাবে শিশুদের ঘরে প্রবেশ করেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়।
২. দারোয়ানরা কি তাঁদের দেখতে পেয়েছিল?
সোসাইটির নিরাপত্তারক্ষীরা কাউকে ঢুকতে দেখেননি বলে কিছু রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। এটা কি গাফিলতির কারণে হয়েছে, নাকি অনুপ্রবেশকারী নজরদারি নেই এমন কোনও ব্লাইন্ড স্পটকে কাজে লাগিয়েছে?
৩. ভেতরের কোনও ব্যক্তি জড়িত ছিল কিনা?
সইফ আলি খানের গৃহ সহায়ক কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তদন্তকারীরা এই সম্ভবনাও খতিয়ে দেখছেন। নিয়মিত যোগাযোগ রেখে আক্রমণে কেউ সহায়তা করেছিল কিনা তাও দেখা হচ্ছে।
৪. অনুপ্রবেশকারী কি বিল্ডিংয়ের সব কিছুর সঙ্গে পরিচিত ছিল?
আক্রমণকারী বিল্ডিংয়ের সব কিছুর সঙ্গে পরিচিত ছিল কিনা বা ভিতরে তাদের অবাধ যাতায়াত ছিল কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
৫. কীভাবে তাঁরা সিসিটিভি ক্যামেরাকে ফাঁকি দিল?
পুলিশ সিসিটিভি ক্যামেরায় অনুপ্রবেশকারীর সিঁড়ি দিয়ে হেঁটে যাওয়ার ফুটেজ প্রকাশ্যে আনলেও কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে দেখছে যে কীভাবে হামলাকারী প্রবেশদ্বারে একটি সহ আরও বাকি ক্যামেরার চোখ এড়িয়ে ঢুকল তাঁরা।